ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
লড়াইটা ছিল প্রবল। একটা দিক থেকে তবু সাকিব আল হাসানের কাছে মনে হতো অসম। ওপেনারের সঙ্গে তো আর পাঁচ নম্বরের লড়াই জমে না! এখন তিনে উঠে এসে তার বিশ্বাস, লড়াইটা এবার জমবে আরও।
এই লড়াইয়ের নাম, ‘বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান’। টেস্ট ও ওয়ানডেতে এর চূড়ায় তামিম ইকবাল; টি-টোয়েন্টিতে সাকিব।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১১ হাজার রান স্পর্শ করেছেন তামিম, সাকিব ছুঁয়েছেন ১০ হাজার। হাজার রানের এই দূরত্ব একসময় ছিল অনেকটাই কম। বিশেষ করে ওয়ানডেতে দারুণ লড়াই চলেছে দুজনের। তবে ওয়ানডেতে যেমন, তেমনি তিন সংস্করণ মিলিয়েও এখন অনেকটা এগিয়ে তামিম।
তামিমকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে কখনোই কার্পণ্য ছিল না সাকিবের। তবে বেশ কবারই তার কণ্ঠে উঠে এসেছে একটা আক্ষেপ, ওয়ানডেতে পাঁচ-ছয়ে খেলে তো বড় ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়াটাও তাই স্বাভাবিক।
সেই সাকিব এই ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলছেন তিন নম্বরে। বাংলাদেশের বরাবরের দুর্ভাবনার এই জায়গাটিকে আপন করে নেওয়ার ইঙ্গিত রেখেছেন প্রথম দুই ম্যাচেই। করেছেন ৩৭ ও ৬৭ রান। পাশাপাশি দুই ম্যাচেই বোলিংয়ের পারফরম্যান্সে তিনিই ম্যাচ সেরা। সাকিবের বিশ্বাস, তার তিনে উঠে আসা জমিয়ে দেবে লড়াই।
“আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর একটা প্রতিযোগিতা সব সময় কাজ করে। দলের মধ্যে কে বেশি রান করছে, কে বেশি উইকেট পাচ্ছে। এটা দলের মধ্যে সব সময়ই আমরা ইতিবাচকভাবে আলোচনা করি। আমার কাছে মনে হয়, প্রতিযোগিতাটা আরও ভালো হবে।”
শুধু তামিমই নয়, সাকিব জানালেন লড়াইয়ে ভালো মতো আছেন মুশফিকও। তার মতে, সেরার এই প্রতিযোগিতা দলের জন্যই ভালো।
“এই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা আমার কাছে মনে হয় খুব জরুরি। সবার তো সবার প্রতি অবশ্যই একটা প্রত্যাশা থাকে। নিজের সঙ্গে নিজের একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এমন প্রতিযোগিতা দলের জন্য অনেক ভালো। আমরা হয়ত তিন-চারজন আছি রানের দিক থেকে খুব কাছাকাছি। প্রতি ম্যাচেই আমাদের চিন্তা থাকে কার থেকে কে বেশি রান করবে।”
“চিন্তাটা এমন নয় যে কামনা করি অন্য কেউ আউট হয়ে যাক। যে যত বেশি করছে, তার চেয়ে বেশি করতে পারাটা আলাদা একটা স্বস্তির ব্যাপার। আমরা এটা খুব ভালোভাবে অনুভব করি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের তিনজনের এই প্রতিযোগিতা খুব ভালো। এইটা যত বেশিদিন চলতে থাকবে, আমাদের দল তত ভালো খেলতে থাকবে।”
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০ হাজার রান যে এই ম্যাচে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব, সেটি জানতেন না নিজে। শোনার পর বললেন, “তাই নাকি?” জানালেন, চেষ্টা করবেন আরও অনেক মাইলফলক ছুঁতে।
“এমন একেকটা মাইলফলক ছুঁতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে। চেষ্টা থাকবে আরও যত বেশি করতে পারি। সব সময় হয় না। আবার সব সময় হবেও না, সেটাও নয়। এখন ভালো হচ্ছে। চেষ্টা থাকতে আরও যত দ্রুত মাইলফলকগুলো ছোঁয়া যায়।