পটিয়ার শান্তিরহাটে মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগ
আবদুল আউয়াল ফরহাদ পটিয়া,চট্টগ্রাম
পটিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শান্তিরহাট মাংসের জন্য খুবই বিখ্যাত।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নিকটবর্তী হওয়ায় পটিয়া ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন থানা থেকেও মানুষ প্রতিদিন শান্তির হাট থেকে মাংস ক্রয় করতে আসে।এ সুযোগে মাংস বিক্রেতারা ওজনে কম দেয়া,বেশি মূল্য সহ বিভিন্ন উপায়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মাংস বিক্রেতারা ওজনে কম দেয়ার জন্য ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার না করে মান্দাতা আমলের দাড়িপাল্লাতেই মাংস বিক্রি করে।তাদের এসব দাড়িপাল্লার ওজন পরিমাপ যন্ত্রগুলো কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম কম থাকে। ক্রেতাদের বলে মাংস ওজনে বেশি দিয়েছে,অথচ ঐ মাংস ডিজিটাল মেশিনে ওজন করলে দেখা যায় ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম কম।তাছাড়া অবিক্রিত মাংস ডিপ ফ্রিজে রেখে তারপরের দিন বিক্রি করে।অনেক সময় ৪/৫ দিন আগের পচাঁ মাংস সদ্য জবাই করা গরুর মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে।তাছাড়া দোকানের সামনে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর সরকারী নির্দেশনা থাকলেও কোন ব্যবসায়ী তা মানছে না।ফলে ক্রেতাদের কাছে অধিক মূল্যে মাংস বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।যদি কেউ এর প্রতিবাদ করে তখন এরা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।শারিরীকভাবে নাজেহাল করে ছাড়ে।
স্থানীয় মাংস ক্রেতা মো: বশির বলেন,আমি তাদের কাছ থেকে মাংস ক্রয় করে বিভিন্ন সময়ে প্রতারিত হয়েছি।এখানে সদ্য জবেহ কৃত গরুর মাংসের সাথে অনেক সময় অবিক্রিত গরুর মাংস মিশিয়ে দেওয়া হয়।অথচ গরু জবেহ করার আগে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পশু কর্মকর্তা সীলমোহর দিয়ে বিক্রয়ের বিধান থাকলেও পটিয়ায় তা মানা হচ্ছে না।কবে কোন গরু জবেহ হয়েছে তা না জেনেই ক্রেতাদেরকে মাংস ক্রয় করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নজরদারির বিধান থাকলেও এখানে কখনো কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায় না।তারা এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য পটিয়া উপজেলা প্রসাশনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।