July 27, 2024, 10:33 am

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে ধীরগতি

বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে ধীরগতি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ঝুলে আছে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ অডিট আপত্তি। আর তাতে জড়িত হাজার হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিট আপত্তির ৫০ শতাংশ চলতি বছর নিষ্পত্তির নির্দেশনা রয়েছে। তবে যে গতিতে অডিট নিষ্পত্তি চলছে তাতে ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই শেষে বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার, যার সাথে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৮৪১টি অডিট আপত্তি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি)। সংস্থাটির ২ হাজার ১৫০টি অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির বিপরীতে অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। তবে বিআরইবির সম্পৃক্ততা না থাকায় তারমধ্যে ৩২৯টি আপত্তি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ডিপিডিসি) ফেরত দেয়া হয়েছে। তাতে বিআরইবির অডিট আপত্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২১টিতে। গত জুনে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১৩টি অডিট আপত্তির নিষ্পত্তি হলেও যোগ হয়েছে নতুন একটি অডিট আপত্তি। আর জুলাইয়ে নতুন কোনো অডিট আপত্তি যুক্ত না হলেও বিদ্যমান কোনো আপত্তির নিষ্পত্তি হয়নি। অডিট অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অডিট আপত্তি রয়েছে ১৮ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার। প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৫৫৮টি অডিট আপত্তির সাথে ওই পরিমাণ অর্থ জড়িত। তার মধ্যে জুলাইয়ে ২০টি আপত্তি নিষ্পত্তি হওয়ায় আপত্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৮টিতে। আর ডিপিডিসির জুলাইয়ে মাত্র একটি অডিট আপত্তির নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে জুলাই শেষে প্রতিষ্ঠানটির অডিট আপত্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫টিতে। ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) অডিট আপত্তি রয়েছে ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকার। জুলাই শেষে প্রতিষ্ঠানটির অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সংখ্যা ১৮০টি। জুলাইয়ে নিষ্পন্ন হয়েছে ডেসকোর ৬টি অডিট আপত্তি। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (ইজিসিবি) ২০টি অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সাথে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৬০৫ কোটি টাকা। জুলাইয়ে কোনো আপত্তির নিষ্পত্তি না হলেও নতুন ৫টি আপত্তি যুক্ত হয়েছে। আর মোট ৫৮টি অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তি রয়েছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল)। তার সাথে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৬২৬ কোটি টাকা। জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোনো অডিট আপত্তি নিষ্পন্ন হয়নি।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুন শেষে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সংখ্যা ছিল ৪৯৩। জুলাইয়ে মাত্র ৪টির নিষ্পত্তি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৯টিতে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ৩১৯টি অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিতে অর্থের সংশ্লিষ্টতা ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। জুলাইয়ে ৪টি আপত্তির নিষ্পত্তি হলেও নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৫টি। কোল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের অডিট আপত্তি রয়েছে মোট ১০টি। তার মধ্যে জুলাইয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন ৮টি আপত্তি। তবে অডিট আপত্তিতে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। অডিট আপত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বকেয়া বিদ্যুৎ বিল, বিধিবহির্ভূত পরিশোধ, সিস্টেম লস, আত্মসাৎ, ভ্যাট ও আয়কর-সংক্রান্ত, ঘাটতি ও অপচয়-সংক্রান্ত, চুরি এবং অন্যান্য।

সূত্র আরো জানায়, অডিট অধিদপ্তর বাস্তব অবস্থা যাচাইয়ের মাধ্যমে অনিষ্পন্ন আপত্তির নিষ্পত্তিতে আগ্রহী। তবে সেটি সম্ভব না হওয়ায় নিষ্পত্তি হচ্ছে না অনেক আপত্তির। সিস্টেম লসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ায় অডিট আপত্তি তোলা হয়। এরও নিষ্পত্তি করতে পারছে না বিতরণ কোম্পানিগুলো। আর এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানি আইনের অধীনে পরিচালিত হলেও অনেক ক্ষেত্রেই আপত্তি তোলা হয় অন্য কোনো আইনে। ফলে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ওসব ক্ষেত্রে আপত্তির নিষ্পত্তি হয় না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অডিট আপত্তির তথ্যও পরে খুঁজে পাওয়া যায় না।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর