এম ডি বাবুল চট্রগ্রাম
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডস্থ পানছড়ি এলাকার আবুল কালামের বসত বাড়ীতে কতিপয় ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট’সহ অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বর্ণিত অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও সাথে থাকা পলিথিনের ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৩টি মোবাইল এবং ০৪টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
আটকৃতরা হলেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পানছড়ি পাড়ার মৃত কবির আহমেদের পুত্র ১/ মোঃ আব্দুল্লাহ(৩০) এবং একই এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র ২/ মোহাম্মদ আলী (২৮)
এছাড়াও আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই একজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদ্বয় স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্র এবং দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে বড় বড় ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও সীম কার্ড ব্যবহার করে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।