স্টিভ ওয়াহকে ছুঁলেন স্মিথ
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
স্টিভেন স্মিথ যেন ফিনিক্স পাখি। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জং ধরাতে পারেনি তার ব্যাটে। অ্যাশেজ দিয়ে ১৮ মাস পর সাদা পোশাকে ফেরাটা স্মরণীয় করে রেখেছিলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই দিন গত না হতে পুনরায় এজবাস্টনের দর্শকদের অভিনন্দনে ভাসলেন সাবেক অজি অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের ৮৫তম ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিটি এলো স্মিথের ব্যাট থেকে।
এক টেস্টে স্মিথের এটি প্রথম ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। এর আগে দলের দুঃসময়ে হাল ধরে ১৪৪ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানো অজিদের এবারও রক্ষা করলো তার ব্যাট।
নার্ভাস নাইনটি নাইনের ঘরে দাঁড়িয়েছিলেন স্মিথ। স্টুয়ার্ট ব্রডের দ্বিতীয় বলে ৪ মেরে ৬৫তম টেস্টে ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি করেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তার ১০তম শতক। ২০০২ সালে অ্যাশেজে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন। ১৭ বছর তারই পুনরাবৃত্তি করলেন স্মিথ।
এই সেঞ্চুরি করে অ্যাশেজে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ওঠে এলেন স্মিথ। ছুঁলেন সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহকে। দুজনের অ্যাশেজ সেঞ্চুরি এখন ১০টি। অ্যাশেজে ১৯ সেঞ্চুরি করে সবার ওপরে আছেন ডন ব্রাডম্যান। ১২টি সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় স্থানে জ্যাক হবস। ওয়াহকে ছোয়াঁর পথে স্মিথ পেছনে ফেলেছেন ৯টি সেঞ্চুরি করা ওয়ালি হ্যামন্ড ও ডেভিড গাওয়ারকে।
এছাড়া টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৫তম সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। লেগেছে ১১৯ ইনিংস। অবশ্য এখানে শীর্ষে আছেন ব্রাডম্যান। ২৫ সেঞ্চুরি করতে সাবেক অজি কিংবদন্তির লেগেছে মাত্র ৬৮ ইনিংস। ১২৭ ইনিংসে ২৫ সেঞ্চুরি করে তৃতীয় স্থানে আছেন বিরাট কোহলি।
সোমবার বার্মিংহাম টেস্টে আগের দিনের ৪৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন স্মিথ। সঙ্গ দেন ট্রাভিস হেড। চতুর্থ দিনে স্মিথ-হেড জুটি দলকে এনে দেন আরো ৮১ রান। সফরকারীদের দলীয় ২০৫ রানে স্মিথ-হেডের ১৩০ রানের শক্তিশালী জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। হেড সাজঘরে ফিরেন ৫১ রানে।
এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৪৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া। লিড নিয়েছে ১৫৮ রানের। ১০৮ রানে স্মিথ এবং ২২ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাথু ওয়েড।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের ৪ উইকেটের দুটি নিয়েছেন স্টোকস। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও মঈন আলী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৮৪ রানে। রোরি বার্নসের (১৩৩) সেঞ্চুরিতে ৩৭৪ রান করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১২৪ রান তুলে ৩৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অজিরা।