ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে…। কারে? উইকেটরে! সানজামুল ইসলামের ডাকনাম নয়ন। এই ম্যাচে ৮৭তম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট অভিষেক এই স্পিনারের। ম্যাচটা এমনিতেও মনে রাখতেন। তবে সানজামুল যেন কোনো দিনই ভুলতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাও হয়ে যাচ্ছে। সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন অভিষেকে, রান করায় নয়; রান দিয়ে! ইনিংসের ১২৫তম ওভারে যখন এই লেখাটায় প্রথম কি-বোর্ডের স্পর্শ পেল, তখনো কোনো উইকেট পাননি। শেষ পর্যন্ত এমন নিষ্ফলা থেকে গেলে অভিষেকে ১০০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার রেকর্ডে নাম উঠে যাবে তাঁর। টেস্ট ইতিহাসে এর আগে এমন বিচ্ছিরি অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাত্র ২৬ জনের। এই তালিকায় অবশ্য সঙ্গী হিসেবে বেশ কজন বাংলাদেশিকে পাচ্ছেন সানজামুল। ফাহিম মুনতাসির, শাহাদাত হোসেন, রবিউল ইসলাম আর আবুল হাসানের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আবুলের জন্য ২০১২ খুলনা টেস্টটা দুই রকম স্মৃতি হয়ে এসেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দশে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার কীর্তি। আবুল তখনো ভাবতে পারেননি, আরও একটা সেঞ্চুরি অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। অভিষেকে ১০০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা ২৬ বোলারের নামগুলোর দিকে তাকালে সানজামুল ভয়ই পেতে পারেন। এঁদের বেশির ভাগের টেস্ট ক্যারিয়ার পরে সুপ্রসন্ন হয়নি। সিংহভাগেরই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে এক-দুই টেস্ট খেলে।
১০০ টেস্ট উইকেটের বেশি নিতে পেরেছিলেন মাত্র একজন। কেবল ‘থম্মো’খ্যাত জেফ থমসনই শুরুর ধাক্কা সামলে ৫১ টেস্টে ২০০ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন। এরপর কমপক্ষে ৫০ উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র ৫ জন, যাঁদের মধ্যে শাহাদাত আছেন। আছেন ভারতের বাপু নাদকার্নি কিংবা পাকিস্তানের আকিব জাভেদ।
সানজামুলের সামনে উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই শঙ্কাও আছে, ১৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেন! লেখাটা লিখতে লিখতেই যেমন তাঁর নামের পাশে উইকেট যোগ না হলেও রান হয়ে গেছে ১২৮। অভিষেকে ১৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার ‘কীর্তি’ কেবল একজনের। ২০১৫ দুবাই টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল আদিল রশিদের। সানজামুলকে কিন্তু সেই রেকর্ডটাও চোখ রাঙাচ্ছে!