উইন্ডিজের বিরুদ্ধে ‘আগুনে’ লড়াইয়ে প্রস্তুত ইংল্যান্ডের উড
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ মোকাবেলায় তার দল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ড পেসার মার্ক উড। তিনি বলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দল ‘আগুন দিয়েই আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই’ করবে। আগামি শুক্রবার মুখোমুখি হবে সেরা পেস আত্রমনের দল দুটি। উভয় দলই আগ্রাসী বোলিয়ে অভ্যস্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটিতে লড়াই হবে পেস আক্রমণের। ভরপুর থাকবে বাউন্সি লড়াইয়ে। ট্রেন্ট ব্রিজে ওশানে থমাস, আন্দ্রে রাসেল ও শেল্ডন কট্রেলের বাউন্সি বোলিং দিয়ে টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সর্ব নিম্ন ১০৫ রানেই পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে উড ও বার্বাডোজে জন্ম নেয়া পেসার জোফরা আর্চারের ঘন্টায় ৯৫ মাইল গতিবেগে বলে সহজ জয় পায় ইংল্যান্ড।
উড বলেন, ‘সুস্পষ্ট ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়েই এই বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর সেটি হচ্ছে বিপুল পরিমানের উপাদান। সাম্প্রতিক উইন্ডিজ সফরে আমরা সে পরীক্ষার স্বাদ পেয়েছি। তবে ড্যারেন ব্রাভো ও হেটমেয়ারের শর্ট বলে আউট হওয়ার কথা আমার মনে আছে। সুতরাং এটি এই কারণেই ভাল দিক যে আমরা আগুন দিয়ে আগুনের মোকাবেলা করব। ’
ইংলিশ পেসার বলেন,‘ এটি অনেকটা আঘাতের পর আঘাত করার মত।দুই প্রান্ত থেকেই যখন পেস আক্রমণ রচিত হয়, তখন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা দম নেয়ার ফুরসত পায়না এবং এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে পারলে খুব ভালই হবে। যখন সত্যিকারের পেস বোলিং প্রদর্শিত হয় তখন পুরো প্রেক্ষাপটই এলোমেলো করে ফেলে, ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়।’
সপ্তাহের শেষ ভাগে আর্চার নিজেকে ইংল্যান্ডের দ্রুততম বোলার দাবী করেছিলেন। পরে যখন তাকে বলা হয় যে এই টুর্নামেন্টে উড তার চেয়ে দ্রুত ৯৫.৬ মাইল বেগে বল করেছেন, তখন তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে মুখোমুখি লড়াই চলবে এবং ডানহাম পেসার পিছিয়ে পড়লেও কিছু মনে করবন না। উড বলেন,‘ আমাদের মধ্যে এটি খুবই ভাল একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে আমরা দুই জনই ৯৪ থেকে ৯৫ মাইল গতিবেগে বোলিং করি। তালিকার শীর্ষে দুই বোলারই ইংল্যান্ডের হওয়াটা আমাদের জন্য ভাল দিক।
এর দ্বারা আমরা নিজেদের এগিয়ে রাখতে পারি। আপনারা সেরা হবার জন্য একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং যতটুকু সম্ভব দ্রুত বল করছেন। তবে এটি পরিহাসের কিছু না। বরং আপনারা একে অপরকে সহায়তা করছেন। আমি চেস্টা করছি জোফরার চেয়ে অন্তত ০.১ মাইল বেশী জোরে বল করতে। আর জোফরাও আমার চেয়ে একই রকম বেশী গতিতে বল করার চেস্টা করছে। ’