প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১২ টায় বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের খেলার মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে বালুখালীতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মাঝে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল পরিবর্তনকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শিবিরে নলকূপ স্থাপন করা নিয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গারা ডাকাত পড়েছে বলে রোহিঙ্গা শিবিরের মাইকে মাইকিং করে সংঘবদ্ধ ভাবে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জন স্থানীয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো অন্তত ৫ জন স্থানীয় নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা তাকে অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
নিখোঁজ বাংলাদেশিদের উদ্ধারে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল। আহত ব্যাক্তিদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ডাকাত পড়েছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর রোহিঙ্গারা পরিকল্পিতভাবে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়। এই সময় রোহিঙ্গারা একাধিকবার গুলিবর্ষণ করেছে বলে তিনি জানান।