ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিশ্বের মহানগরগুলোর ভেতর নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতনে ভারতের দিল্লি সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যৌথভাবে ব্রাজিলের সাও পাওলো নগরও একই অবস্থানে আছে বলে একটি আন্তর্জাতিক জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন বিশ্বের ১৯টি মহানগরের ওপর এই জরিপ চালিয়েছে। জরিপে শিক্ষার্থী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনপ্রণেতা ও সমাজ পর্যালোচকেরা অংশ নেন। গত সোমবার সংস্থাটি প্রথমবারের মতো করা এই জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
জরিপবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নির্যাতন ও হয়রানির দিক থেকে ভারতের দিল্লি সবচেয়ে নিকৃষ্টতম মহানগর। এই শহরে নারীরা ধর্ষণ, হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি থাকে। এ নগর এরইমধ্যে ভারতের ‘ধর্ষণের রাজধানী’ হিসেবে কুখ্যাতি জুটিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন জাতিসংঘের তালিকায় থাকা ১৯টি মেগাসিটির ওপর চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে এই জরিপ করেছে। ভারতে চলন্ত বাসে ‘নির্ভয়া ধর্ষণকা-ের’ পাঁচ বছরের মাথায় যৌন নির্যাতনের দিক দিয়ে নতুন করে শহরটি নিকৃষ্টতম শহরের কাতারে উঠে এল।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নির্যাতনের দিক দিয়ে নিকৃষ্টতম শহরের কাতারে দিল্লির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহর। তবে যৌন নির্যাতনে শীর্ষে থাকলেও নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে চতুর্থ অবস্থানে আছে দিল্লি। এই তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম ও লাগোস অষ্টম অবস্থানে আছে। আর বিশ্বে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কায়রো শহর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি ও কিনশাসা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে দেখা গেছে, নারীদের যৌন নির্যাতনের দিক দিয়ে নিরাপদ শহর হচ্ছে জাপানের টোকিও। আর করাচিও ভারতের দিল্লির চেয়ে কিছুটা নিরাপদ।
ভারতে জাতিসংঘের নারী কার্যালয়ের প্রতিনিধি রেবেকা রিচম্যান তাভারেস বলেন, ‘জরিপের এই ফলে আমি মোটেও বিস্মিত নই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের যৌন নির্যাতন নিয়ে ভারত ও ব্রাজিলের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনাও হয়েছে।’