July 3, 2024, 8:32 am

সংবাদ শিরোনাম
নবীগঞ্জের আউশকান্দি কিবরিয়া রোড সংস্কার যেন স্বপ্ন! দীর্ঘদিন দিন পর আশা পূরণ হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক কুলাউড়ার মাহফুজ আদনানের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা সরিষাবাড়িতে জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২’র অভিযানে ডাকাতি ও হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ঝিকরগাছায় প্রবাসীর স্ত্রী আপত্তিকর অবস্থায় ধরা ৩০হাজার টাকায় রফাদফা পরিচ্ছন্নতা ও ডেঙ্গু নিধন অভিযান-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন শার্শায় এইসএসসি ও আলিম পরীক্ষার প্রথমদিনে অনুপস্থিত- ৪৬ ১ জুলাই কাজী জাফর আহমদ এর ৮৫তম জন্মবার্ষিকী বন্যার্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ

পরিবারের মেঝ সন্তান কেন সবার চাইতে আলাদা ?

জানেন, পরিবারের মেঝ সন্তান কেন সবার চাইতে আলাদা ?

আমরা প্রায় সব পরিবারে দেখি বাবা মা মেঝ সন্তানকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তাই মগ্ন থাকে। কারণ মেঝ সন্তান কেমন জানি সবার থেকে একটু আলাদা হয়। তারা একটু গাড় টেরা স্বভাবের হয়। অনেক বেশি স্বাধীনচেতা, একটু একগুঁয়ে স্বভাবের হয়। এমনকি অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারে সবাই কোন সিদ্ধান্তে মত দিল মাঝখানে মেঝ সন্তানকে দেখা গেল সে দ্বিমত পোষণ করে বসে আছে। শুধু তাই নয় মেঝ সন্তান একটু বেশি জেদি হয়।

পৃথিবীর কারো সাধ্য নাই তাকে বুঝার সে নিজে যা বুঝে সেটাই ঠিক। তাই এইসব স্বভারে কারণে পরিবারের মেঝ সন্তানকে নিয়ে বাবা মা অনেক চিন্তাই থাকেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সবার থেকে একটু আলাদা এই মানুষটাই পরিবারে সবচেয়ে বড় সম্পদ।সেই মানুষটা সবার চেয়ে আলাদা। অনেক ভাল মনের মানুষ এই ভিন্ন স্বভাবের মানুষটা। আজকে পাঠকদের জন্য রয়েছে পরিবারের মেঝ সন্তানরা কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা সেই বিষয়ে ছোট্ট আয়োজন।

১।  আত্মনির্ভরশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠে মেঝ সন্তান: বাবা মাকে অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারের বড় আর ছোট ছেলেকে বেশি সময় দেয়। মাঝখানে দেখা গেল মেঝ সন্তান তা থেকে বঞ্চিত হয় ফলে মেঝরা ধীরে ধীরে আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠে।

২। সম্পর্কের মূল্য খুব ভাল বুঝতে পারে মেঝ সন্তান: বড় এবং ছোটদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনো ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান।

এবং তিনি নিজের বড় কারো সাথে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। কিন্তু পরিবারের অন্য ছেলে মেয়েরা তা ভাবেনা।

৩। সকলকেই সঠিকভাবে মূল্যায়ন করত জানে মেজো সন্তান: কার সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এটি মেঝরা বেশি বুঝে। কিভাবে বাইরের দুনিয়ায় নিজেকে খাপ খাওয়াইতে হবে তা মেঝদের চেয়ে অন্য সন্তানরা খুব কমই বুঝে।

৪।মেজোরাই সৃজনশীল হয়ে থাকেন বেশি:মেজো সন্তানরা সাধারণত অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকে। তাদের চিন্তাভাবনা অন্য সকলের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। দেখা যায় বড় বা ছোটো ভাই বোন স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করে বেশ বড় স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন কিন্তু মেজোজন নিজের সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের নিয়মে চলছেন।

৫। মেঝরা অনেক মিশুক হয়: পরিবারের মেঝদের দেখা গেছে অনেক বেশি মিশুক। বড় ও ছোটো ভাইবোনের সাথে কীভাবে মিশতে হবে তা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিখে নেন মেঝ সন্তান । আর সে কারণেই ছোটোবড় সকলের সাথেই বেশ ভালো করে মিশতে পারার একটি গুণ তৈরি হয়ে যায়, যা পরিবারের বড় ও ছোটো সন্তানের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না। একারণে দেখা গেছে আত্মীয়স্বজন থেকে সকলেই মেজো সন্তানটিকে বেশ পছন্দ করে ফেলেন। মোট কথা মেঝরা অন্যদের থেকে একটু আলাদা হলেও তাদের নিয়ে চিন্তার কোন কারণে নেই তারা অনেক ভাল মনের মানুষ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর