January 15, 2025, 9:38 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শূন্য থেকে শতকোটি রুপির মালিক পাক সেনাপ্রধানের স্ত্রী!

অনলাইন ডেস্ক:-

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ছয় বছর দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৯ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। এর ঠিক আগেই প্রকাশ হলো বিস্ফোরক তথ্য।

জানা গেছে, এই ছয় বছরের মধ্যে বাজওয়ার স্ত্রী আয়শা আমজাদ শূন্য থেকে হয়েছেন বিলিয়নিয়ার, অর্থাৎ শত কোটির মালিক। স্বামী বাজওয়া সেনাপ্রধান হওয়ার আগে আয়েশার কোনো সম্পদ না থাকলেও তিনি এখন কয়েকশো কোটি রুপির মালিক। শুধু স্ত্রীই নয় বাজওয়ার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও হয়েছেন কোটিপতি।

পাকিস্তানভিত্তিক অনুসন্ধানীমূলক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টফোকাস-এর ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন পাকিস্তানের সাংবাদিক আহমেদ নুরানি।

প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, জেনারেল বাজওয়ার পরিবারের সদস্যরা নতুন ব্যবসা শুরু করেছিলেন; এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বিশিষ্ট শহরগুলোয় ফার্মহাউসের মালিক হয়েছেন তারা, বিদেশে কিনেছেন বিপুল সম্পত্তি, সেইসঙ্গে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি নগদ অর্থ।

প্রতিবেদনটি বেশ শক্তিশালী তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করেছেন আহমেদ নুরানি। জেনারেল বাজওয়ার স্ত্রী আয়েশা আমজাদ, তার পুত্রবধূ মাহনূর সাবির এবং পরিবারের অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে এটিতে।

প্রতিবেদনটিতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার পরিবারের আর্থিক সম্পদের পরিমাণ এবং সেগুলোর ওপর দেওয়া ট্যাক্সের তথ্য প্রকাশ করেছে।

ফ্যাক্টফোকাস-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে পাক সেনাপ্রধানের স্ত্রী আয়েশার কোনো সম্পদই ছিল না। এখন তিনি ২.২ বিলিয়ন রুপির মালিক।

পাকিস্তানভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের তথ্যে আরো জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাজওয়ার পুত্রবধু মানহুর সাবিরের কোনো সম্পদ ছিল না। কিন্তু মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ২০১৮ সালের নভেম্বরে তিনি বিলিয়নিয়ার বনে যান। অন্যদিকে মানহুরের বোন হামনা নাসের এক বছরের মধ্যে বিলিয়নিয়ার হন। এছাড়া বাজওয়ার বেয়াই সাবির আহমেদের সম্পদও অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। ২০১৩ সালে সাবির মিলিয়নিয়ার থাকলেও কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি বিলিয়নিয়ার হয়ে যান।

ফ্যাক্টফোকাস জানায়, জেনারেল বাজওয়ার পরিবার একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে একাধিক জায়গায় বিদেশি সম্পত্তি কিনেছে, বিদেশে মূলধন স্থানান্তর করেছে, বাণিজ্যিক প্লাজা, বাণিজ্যিক প্লট, ইসলামাবাদ এবং করাচিতে বিশাল ফার্মহাউসের মালিক হয়েছে।

লাহোরে একটি বিশাল রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিও এবং গত ছয় বছরে পাকিস্তানের ভেতরে এবং বাইরে বাজওয়া পরিবারের গড়ে তোলা সম্পদ এবং ব্যবসার বর্তমান বাজার মূল্য ১২.৭ বিলিয়ন রুপির বেশি।

এছাড়া, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২০১৩ সালের সম্পদের বিবরণ তিনবার সংশোধন করেছেন জেনারেল বাজওয়া।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, “২০১৩ সালের সংশোধিত সম্পদ বিবরণীতে জেনারেল বাজওয়া লাহোরের ডিএইচএ এলাকায় একটি বাণিজ্যিক প্লট যুক্ত করেছিলেন। তার দাবি, আসলে তিনি ওই প্লটটি ২০১৩ সালেই কিনেছিলেন, কিন্তু সেটি তখন সম্পদ বিবরণীতে যুক্ত করতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি।”

জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া অবসরে যাওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত না হলেও এ নিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চলছে চাপা উত্তেজনা।

সূত্র: এনডিটিভি

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর