বেনাপোল থেকে এনামুল হকঃ
দেশের বিরজমান পরিস্থিতিতে বেনাপোল পেট্টাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীসহ পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা।
ভ্রমন ভিসা বন্ধসহ মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা সিমিত করায় বেনাপোল চেকপোষ্ট প্যাসেঞ্জার এলাকা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীরা। পরিবহন ব্যাবসায়ও নেমেছে ধ্বস। বেকার হয়ে পড়েছে শ্রমিকেরা। দোকানগুলোতে নেই বেচাকেনা। ফলে ইমিগ্রেশন এলার্কা বিরাজ করছে অসস্তিকর পরিবেশ। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেক পরিবহন কাউন্টারসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্টান।পেশা পাল্টাচ্ছে অনেকে।
বেনাপোল থেকে ভারতের বানিজ্য শহর কলিকাতায় দুরত্ব মাত্র ৮৮ কিলোমিটার হওয়ায় প্রতিদিন বেনাপোল পেট্টাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫ থেকে ৯ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। তবে শেখ হাসিনা সরকারের দেশত্যাগসহ অন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের পরই ভ্রমনভিসা বন্ধ করে ভারতীয় হাই কমিশন। বিজনেস ও মেডিকেল ভিসাও করা হয় সীমিত। ফলে কমে গেছে যাতায়াত।
গত তিন দিনে যাতায়াত করেছে মাত্র ৫ হাজার ৪৬৯ জন প্যসেঞ্জার। যা মধ্যে ভারতে গেছে ২ হাজার ৭৫৮জন।
ভ্রমন ভিসা প্রদানের শেষ সময় আগামী ১৪ ফেব্রয়ারির পর যাত্রী যাতায়াত একেবারেই সীমিত হয়ে পড়বে বলে জানান ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানানএনামুল হক ভিসা জটিলতায় কমেছে যাত্রী যাতায়াত। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে দু দেশের সরকার। ভিসার বিষয়টি উভয় দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বলে জানান তারা।