এম বি কাজী নাছির শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ হতদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা
কেজি দরে চাল বিতরণের কার্ডে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার, পালং,
আংগারিয়া,শৌলপাড়া ও তুলাসার ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া
গেছে। ডোমসার ইউনিয়নে মৃত ও স্বচ্ছলদের ৩৪০ নামসহ ৪টি ইউনিয়নে এ
অনিয়ম নিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেও
পরিবর্তন করতে পারেনি চেয়ারম্যানরা। উপজেলা প্রশাসন বলছে, সময় মত আবেদন
না করা ও তালিকা সমন্নিত না থাকা, মৃত্যু সনদ না দেয়ার কারনে পরিবর্তন করা
সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃতত হতদরিদ্র মানুষ। ব্যহত হচ্ছে
সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী।
ডোমসার, পালং, আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ -১৮
অর্থ বছরে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার
ডোমসার, পালং, আংগারিযা, শৌলপাড়া ও তুলাসার ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি
দরে চাল বিতরণের কার্ডে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও
সদও উপজেলার সকল ইউনিয়নেই তালিকা প্রনণয়ে ব্যাপক অসংগতি রয়েছে। এর
মধ্যে ডোমসার ইউনিয়নে ২০১৭ -১৮ অর্থ বছরে বিভিন্ন রকম যাচাই বাছাই
করে ৮৬৬ উপকার ভোগীর তালিকা প্রনয়ন করে সদর উপজেলা প্রশাসন। সে থেকে
বরাদ্দকৃতরা বছরে ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাউল পেয়ে আসছেন
তারা। তার মধ্যে মৃত ও স্বচ্ছলদের ৩৪০ নাম রয়েছে। এ নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর
শরীয়তপুর সদর উপজেলা মাসিক সমন্নয় সভায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নুরুল হক
খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় উপকার ভোগীদের নামের তালিকা পরিবর্তন করা
যাবে বলে জানান। তার পর ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাধারন সদস্যরা
মাসিক সাধারন সভায় যাচাই বাছাই করে। সেখানে স্বচ্ছল, মৃত্যু ইউনিয়নে
থাকেন না, ভিজিডি কার্ড আছে, একই ব্যাক্তি নামে একাধিক র্কাড রয়েছে।
তাদের সনাক্ত করে ৮৬৬ জনের মধ্যে ৩৪০ কার্ডে অসংগতি পায়। তাই
অসংগতিপূর্ন ৩৪০ জনের নাম পরিবর্তন করার জন্য ২০২২ সালের ৮ মার্চ সদর
উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন জানান ডোমসার ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার
মজিবুর রহমান খান। আবেদন দেয়ার পর উপজেলা প্রশাসন পরিবর্তনের কারন
জানানো জন্য নোটিশ প্রদান করে। তা আবার পূনঃ রায় সংশোধন করে দেওয়ার পর ও
উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় পরিমান বেশী হওয়ার কারনে এটা করা
সম্ভাব যাচ্ছে না। একই চিত্র শরীয়তপুর সদও উপজেলার ১১টি ই্ধসঢ়;উনিয়নে।
ডোমসার ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিনারা বেগম বলেন, আমার ওয়ার্ডে
১০ টাকা কেজি চাউলের কার্ডের অনেক সদস্য মারা গেছে। আবার অনেকেই
এলাকায় থাকে না। তাদের নাম গুলি পরিবর্তন করা জরুরী। সে মর্মে আমরা আবেদন
করলেও উপজেলা প্রশাসন থেকে নানা অযুহাতে তা বাস্তবায়ন করছে না।
ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মজিবুর রহমান খান বলেন,
সংশোধনের কথা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলার পরে আমরা পরিষদের সবাই মিলে
নিয়ম মেনে অসংগতিপূর্ন কার্ডগুলোর নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছি। কেন
উপজেলা প্রশাসন আমাদের আবেদন গ্রহন করছেন না। তা আমরা বুঝতে পারছি
না।
অনিয়মের কথা স্বীকার করে শরীয়তপুর সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নুরুল হক বলেন,
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কার্ডে
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার, পালং, আংগারিযা, শৌলপাড়া ও তুলাসার
ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদ্বীপ গড়াই বলেন, কোন
চেয়ারম্যইন নাম পরিবর্তন করতে পাওে না। তারা প্রস্তাব করবে, আমরা সেটা
যাচাই বাছাই করে পরিবর্তন করে দিব। তারা মনগড়া একটা তালিকা দিলেই আমরা
অনুমোদন করে দিতে পারি না। আমরা বলছি কেউ মারা গেলে তার মৃত্যৃু সনদসহ
কাগজপত্র জমা দিতে।