কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ সাব্বিরকে
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার সময়ে এক দর্শককে পিটানোয় বড় শাস্তির সামনে সাব্বির রহমান। বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ম্যাচের দ্বিতীয় দিন এক তরুণ দর্শককে পিটানোর অভিযোগ উঠে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট পাওয়ার পর শুনানি শেষে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের শাস্তির সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা কমিটি।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান সোমবার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাব্বিরকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করারও সুপারিশ এসেছে।
“সাব্বিরের বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুনানি হয়েছে। সবকিছই শেষ। ম্যাচ রেফারির রিপোর্টও পেয়েছি। তার বিষয়ে প্রস্তাব যেটি এসেছে, সেটি হচ্ছে আমাদের যে কেন্দ্রীয় চু্ক্িত আছে, সেটি থেকে সে বাদ পড়ছে। সে আর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার থাকছে না।”
“সঙ্গে ২০ লাখ টাকা জরিমানা। পাশাপাশি ৬ মাস ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।”
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক দলে আছেন সাব্বির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে কোনো বাধা নেই তার।
“সিদ্ধান্ত যে এখনই হয়ে গেছে, তা নয়। প্রস্তাব এসেছে শৃঙ্খলা কমিটি থেকে।”
শৃঙ্খলা জনিত কারণে আগেও শাস্তি পেয়েছেন বিপিএলের অন্যতম আইকন ক্রিকেটার সাব্বির। ২০১৬ সালে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় বিপিএলের পুরো পারিশ্রমিকের ৩০ ভাগ জরিমানা করা হয়েছিল। সাব্বিরের পারিশ্রমিক ছিল ৪০ লাখ টাকা। নাজমুল হাসান জানান, এবারই শেষ সুযোগ পাচ্ছেন সাব্বির, ভবিষ্যতে হতে পারেন নিষিদ্ধ।
“শৃঙ্খলা কমিটি বলেছে যে, এবারই শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও করলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করার ভাবনাও আছে।”
বিপিএলের গত আসরে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছিল সাব্বিরকে। এবারের টুর্নামেন্টে আম্পায়ারকে কটু কথা বলায় ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা হয় তার।
গত বছর আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজে শাস্তি পান সাব্বির। আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ শতাংশ জরিমানা হয় তার। সঙ্গে পান দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয় তাকে।