শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
ম্যাচ শুরুর ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় লিভারপুলের জালে বল! সে ধাক্কা কাটিয়ে একের পর এক আক্রমণে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু মিলছিল না গোলের দেখা। অবশেষে দলকে পথ দেখালেন জর্ডান হেন্ডারসন। পরে মোহামেদ সালাহর সফল স্পট কিকে লিগে অপরাজেয় যাত্রা ধরে রাখলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহ্যাম। ম্যাচ শুরু হতেই অ্যানফিল্ডকে হতভম্ব করে দিয়ে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। সন হিয়ুং-মিনের দূরপাল্লার শট ক্রোয়াট ডিফেন্ডার দেইয়ান লোভরেনের গায়ে লেগে পোস্টে বাধা পায়; আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে হেডে জালে জড়ান কেইন।
২৪তম মিনিটে আবারও পাল্টা আক্রমণে লিভারপুলের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় অতিথিরা। মুহূর্তের ব্যবধানে দুবার পরাস্তও হয়েছিলেন গোলরক্ষক আলিসন। তবে গোলমুখে শেষ ছোঁয়াটা দিতে পারেনি কেউই।
শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা লিভারপুল ২৭তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। তবে পাওলো গাসানিগার ডাবল সেভে জাল অক্ষত থাকে টটেনহ্যামের। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সালাহর নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফিরমিনোর ফিরতি শটও রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর আবারও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় টটেনহ্যাম। প্রায় ২২ গজ দূর থেকে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের জোরালো নিচু শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গাসানিগা।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে আবারও প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়ান হিয়ুং-মিন। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককেও কাটান দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফরোয়ার্ড; কিন্তু তার কোনাকুনি শট ক্রসবারে লাগে।
এর চার মিনিট পরেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ছোট ডি-বক্সে দুরূহ কোণে বল পেয়ে কোনাকুনি হাফ ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন হেন্ডারসন। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা গতবারের রানার্সআপরা ৭৫তম মিনিটে সালাহর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায়। ডি-বক্সে সাদিও মানে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। এবারের লিগে মিশরের এই ফরোয়ার্ডের এটি পঞ্চম গোল।
শেষ দিকে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছিল অতিথিরা, কিন্তু সাফল্য ধরা দেয়নি। ফলে দুর্দান্ত শুরু পেয়েও হারের হতাশায় ফিরতে হয় টটেনহ্যামকে। ১০ ম্যাচে ৯ জয় ও এক ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল লিভারপুল।