চাকরির বাজারে গ্রাজুয়েটদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
দেশের চাকরির বাজারে সুযোগের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতি বছর নতুন নতুন গ্রাজুয়েটরা চাকরিপ্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। কিন্তু চাকরির বাজারে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব রয়েছে। গ্র্যাজুয়েটগণ যাতে তাদের মেধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। চাকরির পাশাপাশি গ্রাজুয়েটদের স্বকর্মে নিয়োজিত হওয়ারও আহ্বান জানাই। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) চত্র্থু সমাবর্তনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের জনসম্পদ ও শক্তির উপযুক্ত ব্যবহার হয়নি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে যোগ্য ও দক্ষ মানব সম্পদ প্রয়োজন। জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এ দেশের অমূল্য সম্পদ, যা আমাদের অবিরাম অনুপ্রেরণা ও গর্বের উৎস। কিন্তু আমরা আমাদের সম্পদ ও শক্তি আজও সেভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। দেশের বিরাট জনসংখ্যাকে যদি শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি তবে তা হবে আমাদের জন্য আশীর্বাদ। একটি জাতির সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। ফলে আমাদের সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত নবপ্রজন্মের উন্নয়ন। বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, একবিংশ শতাব্দী আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। গোটা বিশ্ব আজ তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এজন্য প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চতর স্তরে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। সমাবর্তনে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, তোমরা আজ দেশ ও জাতির গর্ব। মনে রাখবে এ দেশ ও সমাজ আজ তোমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাদের কাছে তোমরা ঋণী। তোমরা তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও মনন দিয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণ করতে পারলে সে ঋণ কিছুটা শোধ হবে। সমাবর্তনে এক হাজার ৪২৫ জনকে বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়া হয়। কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য এর মধ্যে আটজনকে ‘চ্যান্সলর গোল্ড মেডেল’ ও ১৪ জনকে ‘ভাইস চ্যান্সলর গোল্ড মেডেল’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. সালাহউদ্দিন মিয়াজি। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনদর্শন, মতাদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গবেষণার উদ্দেশ্যে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ গবেষণা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন।