বিদেশী লিগেই জীবন উপভোগ করবেন যুবরাজ
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ বছরের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন কদিন আগেই। ভারতের জার্সিতে নিজের ভবিষ্যতটা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলেন বলেই চুকিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে সব হিসাব নিকাশ, খেলবেন না ঘরোয়া লিগেও। তবে বিদেশী লিগ খেলার আগ্রহ থেকেই যে ভারতীয় ক্রিকেটের সাথে ঝুলে থাকা সম্পর্কটা ছিন্ন করেছেন আঁচ করা গেছে আগেই। গত মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিদেশী লিগে খেলার অনুমতি চেয়ে করা যুবরাজের আবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেল পুরোপুরি।
সংবাদ মাধ্যম পিটিআই এর বরাতে জানা যায় যুবরাজের আবেদনের বিষয়টি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত ক্রিকেট বোর্ডের তালিকাভুক্ত খেলোয়াড় হলে বিদেশী কোন লিগে যাবেনা খেলা। ২০১৭ সাল থেকে ভারত জাতীয় দল থেকে একপ্রকার নির্বাসিত যুবরাজ তাই বেছে নিলেন অবসরের পথ।
যুবরাজের অবসরের আগেই তার বিদেশী লিগ খেলার আগ্রহের খবর ফলাও করে প্রকাশ করে ভারতীয় মিডিয়া। একটি শক্ত সূত্র আগেই নিশ্চিত করেছে ইতোমধ্যে কয়েকটি টুর্নামেন্টে যুবরাজের খেলার ব্যাপারটি প্রায় চূড়ান্তই, অপেক্ষা কেবল বোর্ডের সবুজ সংকেত। আর সবুজ সংকেত পাওয়ার প্রথম শর্তই ছিল ভারত জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার মায়া ত্যাগ করতে হবে অবশ্যই।
ভারতের হয়ে ১১ হাজারের বেশি রান করা যুবরাজ এমনিতেই জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছেননা বলে ছিলেন নিশ্চিত, তাই অবসরে যেতে খুব বেশি ভাবতে হয়নি তাকে। জাতীয় দল আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ইচ্ছে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে জীবনটা উপভোগ করা, “আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চাই। এ পর্যায়ে এসে আমি কেবল বিনোদনের জন্য ক্রিকেট খেলতে পারি, আমি সামনে এগোতে চাই আর জীবনটা উপভোগ করতে চাই। ”
প্রসঙ্গত যুবরাজের আগে সম্প্রতি আরব আমিরাতে টি-১০ লিগে জহির খান ও বিরেন্দর শেবাগ পেয়েছিলেন অনুমতি। যদিও অনুমতি পাওয়ার আগে দুজন ছেড়েছে আন্তর্জাতিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। দুবছর আগে হংকংয়ে একটি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র তুলে নেয় ইউসুফ পাঠানের। গতমাসে অবশ্য তার ভাই ইরফান পাঠান প্রথম ভারতীয় হিসেবে ক্যারিবিয়ান লিগের ড্রাফটে নাম দেন যদিও এখনো তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত।