অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন খেলতে পেরেছেন মাত্র এক ম্যাচ, টিম সাউদি তো মাঠেই নামতে পারেননি। তবে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় নিউজিল্যান্ডের চোটাঘাতের কোনো ছাপ নেই। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে কিউইদের সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। বাকি চার ম্যাচের দুটিতে জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
এই নির্ভার মুহূর্তে প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে পাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। তাদের তাসমান পারের প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও পরে টানা তিন জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গড়েছে বিশ্বকাপে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও।
ছন্দ থাকা দুই দল মুখোমুখি হতে উন্মুখ হয়ে আছে বলে মনে করেন টম ল্যাথাম। নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উল্লেখ করেছেন ‘বিশেষ’ হিসেবে।তাসমান সাগর পারের দুই দেশ ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৪১ বার মুখোমুখি হয়েছে। তবে সর্বশেষ লড়াইয়ের পর ১৩ মাস পেরিয়ে গেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি না হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে ল্যাথামের কথায়ও। তবে এ দুই দল যখনই একে অপরের বিপক্ষে খেলুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য মাত্রা পায় বলে মনে করেন কিউই অধিনায়ক, ‘আমরা যখনই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলি, এই তাসমানিয়ান দ্বৈরথ সত্যিই বিশেষ কিছু। এটা শুধু ক্রিকেটে নয়, সব খেলাতেই। এমনকি আমাদের দেশ থেকে অনেক দূরে এই ভারতেও এটা বিশেষ উপলক্ষ। আমি নিশ্চিত, দুই দলই এই ম্যাচটা খেলতে সত্যিই উদ্দীপ্ত হবে।’নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। গত রোববার এই মাঠে ভারতের কাছে ৪ উইকেটে হারার আগপর্যন্ত টানা চার ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ শুরু করে টানা দুই হার দিয়ে। তবে সর্বশেষ তিন ম্যাচে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে ভালোমতোই ফিরেছে প্যাট কামিন্সের দল।