January 15, 2025, 7:09 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বিশ্বকাপে দল গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

বিশ্বকাপে দল গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক                         

 

আফগানিস্তান

 

বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

আফগানিস্তান দলের বিশ্বকাপ অভিষেক ঘটে ২০১৫ আসরে। লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় দলটি। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ী হয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়েই ছিটকে পড়ে আফগানরা। তাদের একমাত্র জয়টি এসেছে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়ার দলটির জয়ের হার ১৬.৬৬ শতাংশ।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগে দলটির অতীত পারফরমেন্স ও গুরুত্বপুর্ন কিছু পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক:

অতীত পারফরমেন্স:

২০১৫- লীগ পর্বে ‘এ’ গ্রুপে ষষ্ঠ স্থান

ব্যাটিং পারফরমেন্স :

২৩২-বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৫ আসরে যা শ্রীলংকার বিপক্ষে করেছিল তারা।

১৪২- বিশ্বকাপে আফগান দলের সর্ব নিম্ন স্কোর। ২০১৫ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

২৫৪- বিশ্বকাপে কোন আফগান খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। রেকর্ডটির মালিক সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।

৯৬- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।

২-হাফ সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ অর্ধশতকের ইনিংস। যার মালিক সামিউল্লাহ শনওয়ারি।

বোলিং পারফরমেন্স :

১০ উইকেট- বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। যার মালিক শাপুর জাদরান।

৪/৪৮- বিশ্বকাপে আফগান কোন খেলোয়াড়ের সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃত্তি গড়েন শাপুর জাদরান।

উইকেটরক্ষক পারফরমেন্স :

৭-ডিসমিজাল-বিশ্বকাপে কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। যার মালিক আফসার জাজাই।

৩-ডিসমিজাল- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগান কোন উইকেটরক্ষকের সেরা সাফল্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আফসার জাজাইর সাফল্য।

ফিল্ডিং পারফরমেন্স :

৩ ক্যাচ- বিশ্বকাপে আফগান কোন ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ক্যাচ সংখ্যা। মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান এবং নওরোজ মঙ্গল তিন জনই তিনটি করে ক্যাচ নিয়েছেন।

২ ক্যাচ- বিশ্বকাপে এক ইনিংসে আফগানিস্তানের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ নবী অস্ট্রেলিয়া, নজিবুল্লাহ জাদরান অস্ট্রেলিয়া এবং নওরোজ মঙ্গল শ্রীলংকার বিপক্ষে ২টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন।

 

 

 

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

আজ ৩০ মে ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এর আগে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যন্ডকে নিয়ে আয়োজিত ওয়ানডে সিরিজ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়ার আশা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বেশ কিছু মেধাবী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটি তারুণ্য নির্ভর। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পরিসংখ্যান ও উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ডের বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরফরমেন্স

বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ১৯৭৫ এবং দ্বিতীয় ১৯৭৯ আসরের শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের আসর অর্থাৎ ১৯৮৩ আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয় ক্যারিবীয় দলটি।

এরপর ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৯ এবং ২০০৩ চারটি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২০১১ এবং ২০১৫ দুটি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটি ২০০৭ আসরে তাদের বিদায় নিতে হয় সুপার এইট পর্ব থেকে। এ ছাড়া ১৯৯৬ আসরে খেলেছে সেমিফাইনালও।

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ ও সর্ব নিম্ন দলীয় সংগ্রহ:

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড হয়েছে ২০১৫ আসরে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩৭২ রান বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। দলটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৯৩ রান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯৯৬ সালে ভারতের পুনেতে।

ব্যক্তিগত রেকর্ড: ক্রিস গেইল এবং উইনস্টন ডেভিসের রয়েছে ব্যক্তিগত কিছু রেকর্ড :

২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটির মালিক হয়েছেন ক্রিস গেইল। বিধ্বংসী এ ইনিংস খেলার পথে তিনি ১৬টি ছক্কা এবং ১০ বাউন্ডারি হাঁকান।

এ ছাড়া বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিকও গেইল।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে ক্যারিবিয়দের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক উইনস্টন ডেভিস। ১৯৮৩ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫১ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের মালিক হন এ পেসার। ২০১১ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের বিক্ষে ২৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পেসার কেমার রোচ।

ব্যাটিং লিজেন্ড ব্রায়ান লারা ১২২৫ রান নিয়ে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৩৪ ম্যাচে তার রয়েছে দু’টি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি।

এক হাজারের (১০১৩) বেশি রান করা ক্যারিবিয় দলের অপর একমাত্র ব্যাটসম্যান স্যার ভিভ রিচার্ডস।

২৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফল বোলার বাংলাদেশ দলের বর্তমান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট আছে এ্যান্ডি রবার্টসের ঝুলিতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের অন্য কিছু রেকর্ড :

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে ভিভ রিচার্ডসের।

উইকেটরক্ষক হিসেবে ২৬ ডিসমিজাল করে সবার ওপড়ে আছেন দিনেশ রামদিন।

সবচেয়ে বেশি ১৬ ক্যাচ নিয়ে এ তালিকার শীর্ষে ব্রায়ান লারা।

সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ গেইল ও মারলন স্যামুয়েলসের। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এ রেকর্ড গড়েন তারা।

সর্বোচ্চ ১৭ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন ক্লাইভ লয়েড।

২০১৯ বিশ্বকাপে ইন্ডিজ দলের মূল সমস্যা :

গত বছরের শেষ দিকে এশিয়া সফরে ভারতের কাছে(৩-১) এবং বাংলাদেশের কাছে(২-১) ব্যবধানে পরপর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচের পর ফাইনালেও বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে দলটি। এ ছাড়া দলটি অনভিজ্ঞ এবং ইংল্যান্ডের মাটিত তাদের ভাল করা তাদের জন্য কঠিন হবে।

তবে দলে বেশ কয়েকজন উঠতি খেলোয়াড় রয়েছে এবং একই সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা থাকবে নিজস্ব শক্তি ও উপভোগ্য ক্রিকেট খেলা।

সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কঠিন হবে।

 

 

 

 

শ্রীলংকা

 

বিশ্বকাপে শ্রীলংকা দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

আজ ৩০ মে ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের সঠিক কম্বিনেশন ঠিক করতে চেয়েছিল শ্রীলংকা। সেখানে ভাল কিছু করতে পারেনি দলটি। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলছে উপমহাদেশের দলটি। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত।

এই মুহূর্তে শ্রীলংকা দলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন যাবতই দলটি খুব বেশি ভাল করতে পারছে না। বিশ্বকাপে দলটির কিছু পরিসংখ্যানের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক।

আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে শ্রীলংকা?

একটি ম্যাচেও পরাজিত না হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলংকা। এ ছাড়া ২০০৭ এবং ২০১১ আসরেও তারা হয়েছে রানার্স-আপ।

দ্বীপ রাষ্ট্রটি ছয় বার ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩,১৯৮৭,১৯৯২ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে।

২০০৩ আসরে সেমিফাইনাল খেলা দলটি ২০১৫ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল খেলে।

বিশ্বকাপে শ্রীলংকার সর্বোচ্চ ও নর্বনিম্ন দলীয় স্কোর:

শিরোপা জয় করা ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই দলটির রয়েছে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এ আসরে নিজ মাঠ ক্যান্ডিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৯৮ রান ছিল বিশ্ব আসরে শ্রীলংকার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। দলটির সর্ব নিম্ন দলীয় সংগ্রহ ৮৬। যে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৭৫ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ব্যক্তিগত রেকর্ডের মালিক দিলশান ও ভাস:

২০১৫ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিলকরত্নে দিলশানের অপরাজিত ১৬১ রান বিশ্বকাপ ইতিহাসে লংকান খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। অসাধারণ এ ইনিংস খেলার পথে ২২টি বাউন্ডারি হাকান তিনি।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দিলশান।

বিশ্বকাপে এক ইনিংসে লংকান দলের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক চামিন্ডা ভাস। ২০০৩ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২৫ রানে ৬ উইকেট শিকার দলটির হয়ে সেরা বোলিং ফিগার।

দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ৬/৩৮।

মালিঙ্গা এবং ভাস উভয়েই বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেছেন।

সাঙ্গাকারা এবং মুরলিধরনের ছিল ব্যপক প্রভাব

বিশ্বকাপে শ্রীলংকা দলের সর্বোচ্চ ১৫৩২ রান সংগ্রহকারী কুমার সাঙ্গাকারা। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং সাতটি হাফ সেঞ্চুরি।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা একই সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও।

বিশ্বকাপে শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ উইকেট শিকারী মুত্তিয়া মুরলিধরন। বিশ্ব আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।

শ্রীলংকান ক্রিকেটারদের আরো কিছু রেকর্ড:

সাঙ্গাকারা ছাড়াও দলটির আরো চার খেলোয়াড় সনত জয়সুরিয়া, দিলশান, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং অরবিন্দ ডি সিলভা বিশ্বকাপে এক হাজারের বেশি রান করেছেন।

উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৪টি ডিসমিজালের রেকর্ড রয়েছে সাঙ্গাকারার দখলে।

বিশ্বকাপে শ্রীলংকার হয়ে ১৬টি ক্যাচ নিয়েছেন জয়সুরিয়া।

এ ইভেন্টে শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ ২৮২ রানের পার্টনারশীপ উপুল থারাঙ্গা দিলশান জুটির।

 

 

 

পাকিস্তান

 

বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

আজ ৩০ মে-১৪ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯।

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গত আসরের কোয়ার্টারফাইনালে চ্যাম্পিয়ন অসি দলের কাছে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। এবারের আসরের ডার্ক হর্স পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের পারফরমেন্স

বিশ্বকাপে ১৯৭৫, ২০০৩ এবং ২০০৭ তিন আসরে গ্রুপ পর্বে থেকে ছিটকে পড়েছে পাকিস্তান।

১৯৯৬ এবং ২০১৫ দুইবার বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টারফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয়েছে ১৯৯৯ আসরে।

চার বার (১৯৭৯,১৯৮৩,১৯৮৭ এবং ২০১১) খেলেছে সেমিফাইনাল।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা মুহূর্ত আসে ১৯৯২ আসরে। ইমরান খানের নেতৃত্বে এ আসরে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ:

বিশ্বকাপে এক ম্যাচে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৩৪৯। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি গড়ে পাকিস্তান।

দলীয় সর্বনিম্ন ৭৪ রানের রেকর্ডটি গড়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপে এডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

ইমরান নাজির,শহিদ আফ্রিদির ব্যক্তিগত রেকর্ড:

পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরান নাজির। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক শহিদ আফ্রিদি। ২০১১ বিশ্বকাপে হাম্বানটোটায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট শিকার করে এ রেকড গড়েন তিনি। অবশ্য দ্বিতীয় সেরা ৫/২৩ বোলিং ফিগারের মালিকও তিনি।

পারফরমেন্স বিবেচনায় সবচেয়ে সফল জাভেদ মিঁয়াদাদ ও ওয়াসিম আকরাম

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ। এক সেঞ্চুরি ও নয় হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ১০৮৩ রান নিয়ে তালিকায় সবার শীর্ষে বআছেন তিনি। সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তার অবস্থান ১১তম।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারী পেসার ওয়াসিম আকরাম।

অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) এবং শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরলিধরনের (৬৮) পর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।

পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ড:

তিনটি করে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন রমিজ রাজা এবং সাঈদ আনোয়ার।

সবচেয়ে বেশি নয়টি হাফ সেঞ্চুরি জাভেদ মিঁয়াদাদের।

সেরা ৫৩ দশমিক ৮৪ ব্যাটিং গড়েরর মারিক রামিজ রাজা।

এক ইনিংসে সর্বাধিক ৪ উইকেটের মারিক শহিদ আফ্রিদি।

 

 

 

অস্ট্রেলিয়া

 

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

এ পর্যন্ত পাঁচ বার শিরোপা জিতে বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডে আজ ৩০ মে শুরু হতে যাওয়া দ্বাদশ বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এবারের আসরে এ্যারন ফিঞ্চের দলের জন্য কাজটি কিছুটা কঠিন হতে পারে।

এবার আমরা বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরমেন্সের দিকে চোখ বুলাবো।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরমেন্স:

বিশ্বকাপের প্রথম ও দ্বিতীয় (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া।

১৯৯২ আসরে বিস্ময়করভাবে রাউন্ড রবীন পর্বে ছিটকে পড়ে।

২০১১ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টারফাইনাল থেকে।

রানার্স-আপ হয় দুই বার(১৯৭৫ এবং ১৯৯৬)

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল এবং পাঁচ বার ( ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ

বিশ্বকাপে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি হয় ২০১৫ আসরে। নিজ মাঠে এ আসরে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের রেকর্ড গড়ে। বিস্ময়করভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

দলটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৯৮৩ আসরে চেমসফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে ১২৯ রান।

ব্যক্তিগত রেকর্ড: ওয়ার্নার এবং ম্যাকগ্রা

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগ ইনিংসটির মালিক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষ ওয়ার্নারের করা ১৭৮ রানের ইনিংসটি।

বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২০ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এন্ডি বিচেল।

রিকি পন্টিং এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রভাব:

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৪৩ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ রিকি পন্টিং।

পাঁচ সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চরি নিয়ে তিন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার এবং সর্বকালের সেরাদের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে।

অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারী ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপেরও শীর্ষে আছেন।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পন্টিং ছাড়া এক হাজারের বেশি রান করেছেন অপর দুই ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ (১০০৪) এবং এডাম গিলক্রিস্ট (১০৮৫)

পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পন্টিং।

উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ টি ডিসমিজালের মালিক গিলক্রিস্ট।

উইকেটরক্ষকের বাইরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড রয়েছে পন্টিংয়ের।

 

 

 

 

ইংল্যান্ড

 

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

আজ ৩০ মে ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এর আগে ১৯৭৫,১৯৭৯,১৯৮৩,১৯৯৯’র পর ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা হবে বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসরের আয়োজক হলেও একবারও টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি ইংলিশরা। তিনবার রানার্স-আপ হয়েছে দেশটি।

তবে সার্বিক এবার সার্বিক বিবেচনায় এবং হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে এবার শিরোপা জয়ের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে র‌্যাকিংয়ের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের পারফরমেন্স:

বিশ্বকাপে ১৯৭৯,১৯৮৭ এবং ১৯৯২ আসরে তিনবার রানার্স আপ হয়েছে ইংল্যান্ড।

দুইবার ১৯৭৫ এবং ১৯৮৩ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশদের।

তিন সিংহরা ১৯৯৬ এবং ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে।

তিন বার (১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১৫) ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে।

কেবলমাত্র ২০০৭ আসরে সুপার এইট পর্বে খেলেছে তারা।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:

বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে এক ম্যাচে ইংল্যান্ডর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৮ রান। ২০১১ আসরে ভারতের ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল ইংলিশরা। দলটির সর্ব নিম্ন স্কোর ৯৩। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিার বিপক্ষে এ সর্ব নিম্ন রানে গুটিয়ে যায় তারা।

ব্যক্তিগত রেকর্ড:

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রেকর্ডের মালিক সাবেক ব্যাটসম্যান এন্ড্রু স্ট্রস। ২০১১ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে এ রেকর্ডের মালিক হন তিনি।

বিশ্বকাপে ইংলিশদের ইনিংস সেরা বোিলং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন ভিক মার্ক। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে টনটনে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে রেকর্ডের মালিক হন মার্ক।

দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরমেন্স ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার টিম ব্রেসনানের ৪৮ রানে ৫ উইকেট শিকার।

গুচ এবং বোথাম

বিশ্বকাপে ইংলান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী কিংবদন্তী গ্রাহাম গুচ। ২১ ম্যাচ খেলে ৪৪ দশমিক ৮৫ গড়ে তার মোট রান ৮৯৭। একটি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার।

টুর্নামেন্টে দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট (৩০) শিকারের রেকর্ডটি গড়েছেন গুচের সতীর্থ এবং আরেক কিংবদন্তী ইয়ান বোথাম।

বোথামের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/৩১।

ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরির মালিক কেভিন পিটারসেন।

সাবেক উইকেটরক্ষক এ্যালেক স্টুয়ার্ট দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩টি ডিসমিজালের রেকর্ড গড়েছেন। উইকেটরক্ষক তালিকায় তার নবম স্থানে আছেন তিনি।

ফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন পল কলিংউড।

ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অংশ নেয়ায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জেমস এন্ডারসন এবং এ্যালেক স্টুয়ার্ট। দুজনেই ২৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন।

 

 

 

 

বাংলাদেশ

 

 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ড

আজ ৩০ মে ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯। মেগা এ ইভেন্টের আগে বাংলাদেশ দণ বর্তমানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। মূলত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবেই এ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে।

২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে।

এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:

আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?

১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি।

১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা।

১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্ব নিম্ন স্কোর:

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্ব নিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।

ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:

বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন।

মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার দলের সেরা বোলিং নৈপুণ্য।

এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।

সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব

বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি।

ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।

বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:

বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম।

বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের।

২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার দলের সর্বোচ্চ জুটি।

২০১৯ বিশ্বকাপ: কিছু জরুরী বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:

ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে।

প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার।

টাইগার দলের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা দলকে ভোগাতে পারে।

তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে দলটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

 

 

 

 

 

 

 

ভারত

 

বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান, রেকর্ডসমূহ

দশটি দল নিয়ে আজ ৩০মে ইংল্যান্ড এণ্ড ওয়েলসে শুরু হওয়া আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দ্বাদশ আসরে ফেবারিটদের একটি ভারত। গত আসরে দলটি সেমফিাইনাল থেকে বিদায় নেয়।

এবার বিশ্ব আসরে দলটির কিছু পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক।

ভারতের পারফরমেন্স : আইসিসি বিশ্বকাপ ইভেন্টে ভারত কেমন করেছে?

বিশ্বকাপের তিন আসর ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ১৯৯২ আসরে রাউন্ড-রবীন পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা। এ ছাড়া ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্স পর্বে বিদায় ঘটে তাদের।

১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১৫ তিন বার সেমিফাইনাল খেলেছে উপমহাদেশের দলটি। রানার্স আপ হয় ২০০৩ বিশ্বকাপে। ১৯৯৩ ও ২০১১ দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত।

বিশ্বকাপে ভারতের দলীয় সর্বোচ্চ ও সর্ব নিম্ন স্কোর

বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এসেছে ২০০৭ আসরে। বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দলটির সর্ব নিম্ন স্কোর ১২৫ রান ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে।

ব্যক্তিগত রেকর্ড : গাঙ্গুলি ও নেহরার ব্যক্তিগত রেকর্ডসমূহ

বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় দলের কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। ১৯৯৯ আসরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৮৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান তিনি।

বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার আশিষ নেহরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে এ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।

টেন্ডুলকার: বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় শচিন টেন্ডুলকার।

বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ রানের মালিক কিংবদন্তী শচিন টেন্ডুলকার। রেকর্ড ৬ আসরে অংশ নিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৫৬ দশমিক ৯৫ গড়ে তার মোট রান ২২৭৮। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরির মালিকও টেন্ডুলকার। ৫টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে যৌথভাবে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা।

রেকর্ডসমূহ : ভারতীয় ক্রিকেটারদের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু রেকর্ড :

সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটিবদ্ধভাবে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১৮ রান করে তারা এ রেকর্ডের মালিক হন।

বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে এ তালিকার শীর্ষে আছেন দুই পেসার জহির খান ও জাভাগল শ্রীনাথ।

৩১ উইকেট শিকার করে ভারতের সেরা স্পিনার অনিল কুম্বলে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর