ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে সরকার থাকা-খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে নৌকায় করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে দালালরা। নৌকায় তোলার পর নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অর্থ।
এতে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। বিপজ্জনকভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেককে।
মিয়ানমারের বুচিদং এলাকার নুর বেগম। বৃহষ্পতিবার কক্সবাজারে নৌকা ডুবিতে ১৫ জন মারা গেলেও বেঁচে যান এই নারী। তিনি জানান, সেনা অভিযানের সময় আরও সাত আট হাজার রোহিঙ্গার সাথে পালিয়ে আশ্রয় নেন রাখাইনের একটি গ্রামে। বুধবার চার অপরিচিত লোক তাদের নৌকায় বাংলাদেশে পৌছে দেয়ার প্রস্তাব দেন।
এক নারী রোহিঙ্গা নূর বেগম জানান, মাঝি ডেকে ডেকে সবাইকে বলেছে দুই ঘণ্টা লাগবে তোমাদের শাহপরীর দ্বীপ নামিয়ে দিবো। দুইদিনের জন্য বর্ডার খুলে দিয়েছে পরে যাওয়া যাবে না। ওইপাড়ে দশ হাজার মানুষ আছে এপাড়ে আসার জন্য। আট দশটা নৌকা যায় সেখানে।
বৃহস্পতিবার ডুবে যাওয়া নৌকায় নূর বেগমের মতো প্রায় একশ যাত্রীকে ডেকে নিয়েছিল মাঝিরা। এদের অনেকেই হারিয়েছে স্বজন, অনেকে জানেন না নৌকায় থাকা পরিবারের সদস্যরা বেঁচে আছেন কিনা।
পুলিশ ভ্যানে থাকা রোহিঙ্গা শিশু জানান, নৌকায় তুলে সাগরের দিকে নিয়ে গেছে। যেখানে নামিয়ে দেয়ার কথা সেখানে নামায়নি। পরে নৌকা ডুবে গেলে আমার পরিবারের ছয় সাত জন মারা গেছে।
রোহিঙ্গারা জানান, পাড়ে না এনে মাঝ দরিয়ায় নিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয়। স্থানীয়রা জানান, একটি দালাল চক্র দীর্ঘদিন এভাবে টাকা আদায় করে আসছে।
উদ্ধারকারীরা জানান, নৌকা ডুবির পর দুই মাঝিকে মোটরসাইকেলে এক ব্যক্তির সঙ্গে পালাতে দেখেছেন তারা।
মিয়ানমার থেকে যেসব দালাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে তাদের একটি বড় অংশই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের। এদের সাহায্য করে সেন্টমার্টিন, শাপলাপুর, মারিশবানিয়া, বাহারছড়া, বড় ডেইল, শীলখালী এলাকার কিছু মাঝি।