December 22, 2024, 9:15 pm

সংবাদ শিরোনাম
জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার দিনাজপুরে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির

আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে কুমড়া বড়ি

যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার গৃহবধূরা ডালের তৈরি বড়ি বানাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীতকে স্বাগত জানিয়ে প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে কলাই আর চালকুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর মহোৎসব। সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তাদের বড়ি তৈরির রাঙা উৎসব।প্রচণ্ড শীতের মধ্যে পাড়া মহল্লার গৃহিণীরা একত্রিত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে তৈরি এ মজাদার খাবার তৈরিতে বেশ ব্যস্ত। ভোরে উঠে কেউ ছুটছেন ঢেঁকির কাছে, কেউ শীলপাটা, আবার কেউবা মাটির পাত্রে ঘোটনার কাছে। আবার অনেকে যাচ্ছেন বৈদ্যুতিক মেশিনের কাছে। সবার উদ্দেশ্য খাবার টেবিলের বাড়তি স্বাদের জন্য বড়ি তৈরির মূল উপাদান বানানো। জানা যায়, গ্রাম বাংলার যতগুলো ঐতিহ্য প্রবহমান তার মধ্যে অন্যতম একটি চালকুমড়ার তৈরি বড়ি। শীত মৌসুম মানেই গ্রাম বাংলার মানুষের নতুন নতুন খাবার তৈরির মৌসুম। শীতের পিঠা মাঠাই খির পায়েশের পাশাপাশি চালকুমড়া আর ডালের তৈরি বড়িও একটি সুস্বাদু খাদ্য বলে পরিচিত। শীতের দিনে গৃহিণীর রান্না করা প্রতিটি তরকারির সঙ্গে যদি বড়ি না থাকে তাহলে খাবার যেন অপূরণীয় থেকে যায়। সেই বড়ি বানানোর কাজে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের পাশাপাশি শহরের গৃহবধূরা অনেক সজাগ। বড়ি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কালো কলাই অর্থাৎ ঠিকরি কলাই ও চাল-কুমড়া। কুমড়ার অবর্তমানে অনেকে মুলা অথবা পেঁপেকে ব্যবহার করেন। কলাই পাথরের যাতাই মাড়াই করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পাকা চাল কুমড়া অথবা মুলা কিংবা পেঁপে। গৃহিণীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে চাল কুমড়ার ভেতর থেকে তার মুল উপাদান বের করেন। এরপর উভয় উপাদান মিশিয়ে ঢেঁকি বা যাতায় পিষে পেস্টের মতো একটি উপাদান তৈরি করেন। এই উপাদান তৈরিতে গ্রাম্য বধূদের খুব পরিশ্রম করতে হয়। এক সময় বড়ির এ উপাদান তৈরি করতে কেবলমাত্র ঢেঁকি ব্যবহার করা হলেও বর্তমান ডিজিটাল যুগে বেশ পরির্বতন এসেছে। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি যখন বিলুপ্তির পথে তখন এর জায়গা দখল করে নিয়েছে ইঞ্জিনচালিত মেশিন। বেনাপোলের নারানপুর গ্রামের গৃহবধূ জবেদা খাতুন জানান, শীত এলেই তাদের গ্রাম অঞ্চলের লোকজন বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাড়ার অনেক পরিবার একত্রিত হয়ে তারা বড়ি বানান। ধনী-গরিব সবাই এ বড়ির প্রতি দুর্বল। কেননা বড়ি প্রতিটি তরকারিতে বাড়তি স্বাদ এনে দেয়। বড়ি ভেঙে পিঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাজি করলে এক চমৎকার খাবার তৈরি হয়। এছাড়া বড়ি দিয়ে রান্না করা বেগুন, লাউ, ফুলকপি, আলু ইত্যাদি তরকারির যেন স্বাদই আলাদা।ছোট আঁচড়া গ্রামের রাহেলা খাতুন জানান, বড়ি হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মাছ মাংসের সমান। প্রতি বছর শীত এলে এ শ্রেণির পরিবারে অন্য কিছু না হলেও বড়ি হতে হবে। কেননা তারা যে কোন মূল্যে শীতের পুরো সময়টা থেমে থেমে বড়ি তৈরি করেন।শার্শার সামলাগাছি গ্রামের আয়েশা খাতুন জানান, তাদের তৈরি বড়ি শুধু এলাকার মানুষই খায় না। এসব বড়ি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যাচ্ছে। আর ডালের তৈরি এ বড়ি খেয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।

আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে কুমড়া বড়ি। বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মাছের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এই খাবারটি আমাদের দেশে বহুল পরিচিত। এছাড়া কুমড়া বড়ি ভর্তা ও আলু ভর্তা আর ঘির সাথে গরম ভাতের কি যে অতুলনীয় স্বাদ সেটি ভাষায় প্রকাশ করা দূরোহ। এই খাবারটি শীত মৌসুমে প্রস্তুত করে প্রায় সারা বছর সংরক্ষন করা যায়।

? কুমড়ো বড়ি কি??
-মাসকলাই ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে এর খোসা ছাড়িয়ে পাটায় পিশে নেওয়া হয়।পাকা চাল-কুমড়া মিহি করে কুচিয়ে নিয়ে বেটে রাখা ডালের সাথে বিভিন্ন মসলা দিয়ে মিশিয়ে একে বিশেষ আকৃতিতে কড়া রোদে শুকানো হয়।

? কুমড়ো বড়ি কিভাবে খায়??
-যে কোন ঝোলের তরকারিতে দিয়ে এটা রান্না করা যায়।ইলিশ মাছ,জিয়াল মাছ,বোয়াল মাছ দিয়ে এটা রান্না করা যায়।তাছাড়া সবজি রান্নায় কুমড়া-বড়ি দিলে স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়।

? কুমড়ো বড়ি কিভাবে রান্না করতে হয়??
-বড়ি গুলো সামান্য তেল গরম করে নিয়ে হালকা আচে লাল রং করে ভেজে নিতে হবে। তারপর তরকারি রান্নার জন্য মসলা কষানো হলে এতে কুমড়া বড়ি দিয়ে হালকা পানি সহ আধা সিদ্ধ করে নিতে হবে।এভাবেই বাকি রান্না অন্যান্য রান্নার মতো করে করতে হবে।
অনেকে বড়িটা হালকা গুড়া করে তেলে ঝাল পিয়াজ দিয়ে ভেজে খায়, আমি নিজেও এভাবেই খাই।

? আসল কুমড়ো বড়ি চিনবো কিভাবে?
-আসল কুমড়া বড়িগুলো দেখতে মসৃণ হবে না। কিন্ত আটা মিশানো বড়িগুলো তুলনামূলক মসৃণ হয়। আসল কুমড়া বড়ি রান্নার পর ফুলে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ঢাকার মধ্যে আসল কুমড়ো বড়ি পাবেন –

https://www.facebook.com/asthashop.bd

আস্থা শপে তে পাচ্ছেন আসল স্বাদের কুমড়া বড়ি। যেখানে কোন আটা বা বাজে কিছু মিশানো হয় না। ঘরোয়া পরিবেশে, স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি কুমড়া-বড়ি পেতে আজই অর্ডার করুন- ☎️ 01975297518 / 01614482234

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর