দিনাজপুর থেকে ইমরুল কায়েস রুপমঃ
দিনাজপুরে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: আবু জুবাইর হোসেন বাবলু।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হলরুমে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালায় ইনস্টিটিউটটের মহাপরিচালক ড. সালাহ্উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো: আব্দুল হাকিম ও জৈষ্ঠ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: নুর আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মো: আলমগীর মিয়া।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, গম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল। বছরে ৬০ লাখ টন গমের দরকার হলেও আমাদের উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ টন। আমদানী নির্ভর হওয়ায় গমকে যথাযথভাবে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়না। গম ও গমজাত অনেক খাদ্যদ্রব্যের দেশের বাইরে চাহিদা থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে ডলার সাশ্রয়ী না হওয়ায় অনেকাংশেই সেটিকে নিরুৎসাহিত করা হয়। তাই গমের উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, নতুন একটা প্রত্যাশিত জাত আনতে পারি এটার জন্যই মূলত: স্পীড ব্রীডিং(দ্রুত প্রজনন)। এটার জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যে টেকনোলজি ব্যবহার হচ্ছে সেটার ব্যবহার এখানে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। স্পীড ব্রিডিং অর্থাৎ দ্রুতগতিতে করলেই হবে না। এটাতে কাঙ্খিত ফলাফল আসবে কী না সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীদের কাজ হলো নতুন নতুন স্বপ্ন দেখা পাশাপাশি সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা। আজকে যেটা স্বপ্ন দু’বছর পর সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত হবে।
সেমিনারে গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষক, বিজ্ঞানী, বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন।