July 27, 2024, 10:20 am

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ভাতা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ভাতা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
 
 একাত্তরে সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সীমন্তরক্ষা বাহিনীর যে সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ভাতা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকেই এই ভাতা প্রযোজ্য হবে। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন বাহিনীতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগে কর্মরত অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর তারা পুনরায় বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীতে যোগ দেওয়ায় কোনো ভাতা পাননি, যদিও বাকি মুক্তিযোদ্ধারা নির্দিষ্ট হাতে ভাতা পেয়ে আসছেন। এ কারণে তাদের ভাতা দিতে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানানো হাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তাদের প্রায় সকলেই এখন অবসরে চলে গেছেন। অনেকের পরিবার বেশ কষ্টে আছেন। আমরা সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাহিনীতে যারা ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর ভাতার ব্যবস্থা আমরা করব। মুক্তিযোদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবনমানের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা নয়শ টাকা থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে দশ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাড়ানো হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্তদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার এবং বীর প্রতীকদের ভাতা ১৫ হাজার টাকায় টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মাসিক সম্মানী ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা করার কথাও শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য শিক্ষা ভাতা, কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে বিবাহ ভাতা, উৎসব ভাতা, দেশে বিদেশে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সরকার দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাতে প্রতিটি বাহিনী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, বিশ্ব সভায় জাঁতি হিসাবে আমরা মর্যাদার একটা আসনে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছি এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি আমরা অর্জন করেছি। আমি চাই, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে অনেকেই ছিলেন; এই গেরিলাদের আশ্রয় দিয়েছেন, খাদ্য দিয়েছেন, অস্ত্র রেখেছেন, অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন, সংবাদ পরিবেশন করে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের যুদ্ধটা ছিল জনযুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যেও সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারগুলোর মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। বাংলাদেশ প্রতিবছর এ দিনটি পালন করে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী পরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা সেখানে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর উত্তরাধিকারী এবং খেতাবপ্রাপ্ত ১০১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের হাতে চেক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সেনাবাহিনীর দশজন, নৌ বাহিনীর একজন ও বিমান বাহিনীর একজনকে ২০১৬-১৭ বছরের জন্য ‘শান্তিকালীন পদক’ এবং সেনাবাহিনীর দশজন, নৌ বাহিনীর দুইজন ও বিমান বাহিনীর দুইজনকে ২০১৬-১৭ সালের ‘ওসমানীয়া সেবা পদক’ তুলে দেন সরকারপ্রধান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তারিক আহমদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর