মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাধীন হাজীপুর ইউনিয়নস্থিত কেওলাকান্দি (বিলেরপাড়) গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা বড়ভাইয়ের ২য় স্ত্রী-সন্তানরা জবরদখল করে রেখেছেন ছোটভাইয়ের পৈত্রিক ভূমি। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও মুক্তিযোদ্ধা বড়ভাইয়ের ২য় স্ত্রী-সন্তানদের অনুপস্থিতির কারণে তা ব্যর্থ হয়। অথচ, মুক্তিযোদ্ধা বড়ভাইয়ের পুত্র বাহরাইন প্রবাসী রমজান আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উল্টো তার ওই ছোটচাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও কুৎস্যা প্রচার করেছে।
জানা গেছে- গ্রামের মৃতঃ মোঃ সিকন্দর আলীর মোট ত্যাজ্যবিত্তের অন্যান্য ভূমি ৩ পুত্র ইয়ামিছ আলী ওরফে আমির আলী (মুক্তিযোদ্ধা), শাহাদত আলী ও আছকর আলীর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হলেও, মুক্তিযোদ্ধা ইয়ামিছ আলী ওরফে আমির আলীর ২য় স্ত্রী-সন্তানরা বসবাসরত ৩.৪০ একর ভূমি ভাগবাটোয়ারা হবার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ওই ৩.৪০ একর ভূমি ভাগবাটোয়ারা করতে চাইলে, ২য় স্ত্রী-সন্তানরা তা জোরপূর্বক জবরদখল করে রাখেন। বিষয়টি সামজিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হলেও, ২য় স্ত্রী-সন্তানরা উপস্থিত না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ছোটভাই আছকর আলী গ্রাম আদালতে অভিযোগ করেন। কিন্তু, গ্রাম আদালতের বিচারকও বিষয়টি নিষ্পত্তি করেননি।
অথচ, মৃতঃ মুক্তিযোদ্ধা বড়ভাই ইয়ামিছ আলী ওরফে আমির আলীর পুত্র বাহরাইন প্রবাসী রমজান আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উল্টো তার ওই ছোটচাচা আছকর আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও কুৎস্যা প্রচার করেছে। অপরদিকে, তার মা খাতুনা বেগম, ভাই নোমান মিয়া ও ফরজান মিয়া এবং বোন শিল্পী বেগম, শিরি বেগম ও বিউটি বেগম যোগাযোগীমূলে গত ০৭/০৯/২০১৭ইং সকালে বিরোধপূর্ণ ওই ৩.৪০ একর ভূমিস্থিত গাছ ও বাশ কেটে বিক্রি করেন। কারো বাধা আপত্তিই তারা মানেননি। এমতাবস্থায় নিরুপায় আছকর আলী গত ১৩/০৯/২০১৭ইং মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমল আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলার বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু, কুলাউড়া থানা এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্তও প্রতিবেদন দাখিল করেননি। ফলে, বিচারপ্রাপ্তি নিয়েও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন আছকর আলী।