সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসা, হেফজখানা, এতিমখানা এমনকি মসজিদেও হুজুরদের দ্বারা ছেলে শিশু ধর্ষণের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সেই সাথে ধরা পড়ে গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক হুজুর, এমনটাই উঠে এসেছে গণমাধ্যমগুলোতে।

এমন উদ্বেগজনক খবরগুলো যখন উদ্ঘাটিত হয়, তখন সচেতন সমাজ আঁতকে ওঠেন, কিন্তু ছেলে শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ায় এসব নিয়ে কেউই উচ্চবাচ্য করে না। আবারও একটা ঘটনার জের ধরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

রাউজানে এক স্কুলছাত্রকে বলাত্কারের সময় হাতেনাতে এক বৃদ্ধকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের মাইল্যা টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার ধর্ষক বৃদ্ধের নাম হাজি সাহেব মিয়া (৬০)। তিনি একই ইউনিয়নের কামাইজ্জ্যা টিলা নামক এলাকার অলি আহমদ সিকদার বাড়ির বাসিন্দা। হজ পালন শেষে মাত্র ২০ দিন আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন।

 

ডাবুয়া ইউনিয়নের বটতলি টিলা এলাকার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ডাবুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রকে (১৩) গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে টাকার লোভ দেখিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হাজি সাহেব মিয়া। তিনি তাকে মাইল্যা টিলার নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে বলাত্কার করার উদ্দেশে বিবস্ত্র করে। তারপর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ শুরু করে। ছাত্রটির চিৎকারে এ সময় এলাকার কিছু লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে লম্পট সাহেব মিয়াকে আটক করে। একপর্যায়ে ঘটনা শুনে এলাকার আরো লোকজন এগিয়ে এলে
সবাই মিলে সাহেব মিয়াকে গণধোলাই দেয়।’

ডাবুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার লোকজন সাহেব মিয়াকে চুল কেটে, জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরাতে চেয়েছিল। কিন্তু এলাকার লোকজনের উত্তেজনা প্রশমণের জন্য আমি তাদের মারধর করতে নিষেধ করেছি। বলেছি, এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার হবে।’

চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘সাহেব মিয়া চরিত্রগতভাবে একজন খারাপ লোক। সে গত ছয় মাস আগে তার পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। সেই বিচারটিও আমি করেছিলাম। কুপ্রস্তাবের কারণে ওই পুত্রবধূ ডিভোর্স নিয়ে তার ছেলের সংসার ছেড়েছে।’

এদিকে বলাৎকারের ঘটনার পর থেকে ছেলেটির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ছেলেটির মা।