ছাতকে সওজের ভুমিতে সৃষ্ট বনায়নের গাছ কেটে নেয়ায় মামলার প্রস্তুতি
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
ছাতকের মাধবপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সওজের ভূমিতে গড়ে তোলা সামাজিক বনায়ন পরিদর্শন করে বনায়ন প্রকল্প থেকে গাছ কেটে নেয়ার সত্যতা পান সওজ’র উপসহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (১সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বনায়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এদিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সওজ’র ভুমি থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইট-বালুর ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নিতে সওজ’র পক্ষ থেকে নোটিশ করা হলে তা এখনো সরিয়ে নেয়া হয়নি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। ২৪ অক্টোবর সওজ’র উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী মাধবপুর গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর পুত্র ইট-বালুর ব্যবসায়ী চান্দ আলী ওরফে গেদন মিয়া সওজ’র ভুমি থেকে ইট-বালু সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সওজ’র নোটিশের প্রতি তোয়াক্কা না করে গেদন মিয়া তার ব্যবসা যথা স্থানেই চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সওজ’র ভুমিতে অবৈধভাবে ইট-বালু রেেেখ ব্যবসা করার কারনে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও সামাজিক বনায়নের সবুজ পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি নদীঘাটে যাতায়াত, গ্রামের গবাদিপশু মাঠে নিয়ে যাওয়া-আসা, শিশু-কিশোরদের খোলাধুলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সওজ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সওজ’র আশ্রয়-পশ্রয়ে সরকারী ভুমিতে দাপটের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে গেদন মিয়া। ইট-বালুর ডাম্পিং সাইড তৈরী করতে মাধবপুর ব্রীজ সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভুমিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সওজ ছাতকের উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, সওজ’র ভুমিতে গড়ে উঠা সামাজিক বনায়নের প্রায় ৩০-৪০টি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। গাছের মুল্য নির্ধারনের জন্য বিট ও বন কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অনরোধ করা হয়েছে। মূল্য নির্ধারনের পর ক্ষতিপুরন মামলা ও সরকারী ভুমিতে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা ও আদেশ অমান্য করার জন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।