সরকার বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিপক্ষে: হাছান
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার এ বিষয় কাজ করছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের আবেগ আছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সরকার বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিপক্ষে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যা, আহত শিক্ষার্থীকে আবার পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা, ফুটপাতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীর ওপর বাস তুলে দেয়া- এটা দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকান্ড। সুতরাং এগুলো বন্ধ করতে হবে। সরকার এ বিষয় কাজ করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামি মন্ত্রীসভার বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদন করা হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে সংগঠনটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ’৭১ এর ঘাতকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রায় কার্যকর হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সরকার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা তাতে সফলকাম হব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। বিএনপি দেশে কখনই সুস্থ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে সরকারি দল, বিরোধী দল সকলেই যেন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। খুনিদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ওমর বিন আজিজ তামিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ইসমত কাদির গামা, অধ্যাপক ফজলুল হক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে সপরিবারের হত্যাকান্ড ছিলো গভির ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই যারা ওই নির্মম পৈশাচিক হত্যাকান্ডের কুশিলব ও নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারী ছিল তাদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে। তাদের মধ্যে যারা বেচে আছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।