July 17, 2025, 5:21 am

সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত- ৪, শতাধিক আহত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ,১৪৪ধারা জারি জামালপুরে ভারতীয় ৪ লাখ ৭৪ হাজার ব্লেড উদ্ধার, আটক ২ সাংবাদিক স্বপ্না আক্তারের উপর হামলার প্রতিবাদে ডোমারে মানববন্ধন কমলগঞ্জে ময়ূর মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন:আলামত সহ মূল আসামী গ্রেফতার শেরপুরে সরকারি অফিস আদালতে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্ত্বা রয়েছে এখনও বলেন হযরত আলী বেনাপোল বন্দরে চাকরির রক্ষায় ঘুষ দাবির অভিযোগ। বিপাকে ১২৯ জন নিরাপত্তা কর্মী মাদারীপুর দরগা শরীফে দুদকের অভিযান ‎ ‎ চার খলিফার লুটপাটে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো মৌলভীবাজার- এম নাসের রহমান
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক রিজেন্ট ও জিকেজি কেলেঙ্কারি

হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ রেজাউল করিম সিরাজী,নিজস্ব সংবাদদাতাঃ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়াসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাসহ অন্তত ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি কীভাবে হলো—সেটার ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।তাদের এ সপ্তাহে তলব করা হচ্ছে বলে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে।দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, নথিপত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরই দুদকের মুখোমুখি হতে হবে।রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যারা অনুমতি দিয়েছেন, যারা স্বাক্ষর করেছেন, যাকেই দরকার তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।দুদক যে অনুসন্ধান করছে তার মূল ফোকাসটা হবে সরকারের সঙ্গে চুক্তি কীভাবে হলো, লাইসেন্স ছিল কি না। জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা।দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়, তাতে অর্থের বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি ছিল না। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রতি টেস্ট বাবদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নিত রিজেন্ট হাসপাতাল। এরপরও রিজেন্ট হাসপাতাল পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দিত।করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির বিষয়টি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিষেধক ও সামা জিক চিকিত্সা বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এর পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়জীদ খুরশিদ রিয়াজ লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্ত রের মহা পরিচালককে জানান।এরপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রিজেন্টের এমন প্রতারণার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। ফলে করোনা পরীক্ষার নামে রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি চলতে থাকে।দুদকের কর্মকর্তা জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার দায় যেসব কর্মকর্তার ওপর বর্তায় তাদের সবাইকেই দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে।সে হিসেবে রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা, হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডাক্তার আমিনুল হাসান, একই বিভাগের উপ-পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনূস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমানসহ অন্তত ১২ জন কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৯ জুলাই ২০২০/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর