January 16, 2025, 1:58 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

ধানমন্ডিতে চাঁদাবাজির শিকার হয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হলো মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

ধানমন্ডিতে চাঁদাবাজির শিকার হয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হলো মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক   

চাঁদাবাজির শিকার হয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকে উৎখাত হয়েছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার। মানবেতর জীবন যাপন করা পরিবারটি এখন চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি নিজের বাসস্থান ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে নিজের ও পরিবারের অবিশ^াস্য করুণ কাহিনী তুলে ধরেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল আজিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, উত্তরা ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তিনি। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৬/এ, রোডের ৪৯ নম্বর বাড়ির ১/ডি ফ্ল্যাটটি তার স্ত্রী লুৎফন নাহারের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। এই ফ্ল্যাটে তিনি দীর্ঘ দিন থেকে বসবাস করে আসছেন। ফ্ল্যাটটি দখলের উদ্দেশ্যে ধানমন্ডি থানা কমিউনিটি পুলিশের কথিত সভাপতি ও ফ্ল্যাটের স্বঘোঘিত সভাপতি শওকত হোসেন নানাভাবে তাকে হয়রানি করে। তার কাছে ভবন উন্নয়নের নামে ১৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ৬ তলা ভবনের ১৮ ফ্লাটের বাসিন্দারা শওকতের ভয়ে তটস্থ থাকেন। এছাড়া শওকত ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদ ও ঈদগাহ ফা-ের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর প্রতিবাদ করায় শওকত তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ইকবাল আজিমের স্ত্রীর বড় ভাই আল হেলাল মোহাম্মদ হোসেন খন্দকারকে হাত করেন। জনৈক সাইদ হোসেনকে দিয়ে ইকবাল আজিমের বিরুদ্ধে গত ১৫ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় সাজানো মামলা দেন। এই মামলায় ইকবাল আজিম গ্রেফতার কলেমগত ১৮ অক্টোবর শওকতের নেতৃত্বে একদল হিজড়াসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তার বাড়িতে আক্রামণ করে। দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসার সবাইকে জিম্মি করে। ফ্ল্যাটে তার স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়ে ও নাতনীকে মারধর করে ৯টি গুলিসহ লাইসেন্স করা পিস্তল, ৪২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদটাকা, টিভি ফ্রিজ, খাট, ফ্যান, এসিসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় বাঁধা দেয়ায় তার মেয়ে ও নাতনীকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং ধর্ষণেরও হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এখন তার বাসার দুই ট্রাক মালামাল নিয়ে যায় এবং কিছ মালামাল ভবনের নিচে গ্যারেজে পড়ে আছে।
ইকবাল আজিম থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি শওকত হোসেন, সাইদ হোসেন, আল হেলাল মোহাম্মদ হোসেন ও নাজিরসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করছে না। দুর্বৃত্তরা তাকে ফ্লাটে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় তিনি মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার ফ্ল্যাট ফিরে পাওয়া ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ইকবাল আজিম।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকবাল আজিমের স্ত্রী লুৎফন নাহার, বড় ছেলে নাসির আজিম, ছোট ছেলে ইসা আজিম, মেয়ে বুশরা ও নাতনী মেহজাবীন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর