শিশু রাইহান (ছদ্মনাম) কে দেখতে এসে কিছু কেনাকাটা করে দেয়ার জন্য দোকানে নেওয়ার নামে, পিতা কর্তৃক নিজ বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে শিশুকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত ও অনাকা সাবেক স্বামীর লালসা-সন্তান বলির পাঁঠা, প্রতিকার কোথায়?
শিশু রাইহান (ছদ্মনাম) কে দেখতে এসে কিছু কেনাকাটা করে দেয়ার জন্য দোকানে নেওয়ার নামে, পিতা কর্তৃক নিজ বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে শিশুকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত ও অনাকাংখিত পরিণতি চাপিয়ে দিয়ে; মায়ের সাথে ব্যক্তিগত ও সরাসরি দেখা সাক্ষাতের অধিকার এবং শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি উৎসাহিত করার পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। শিশুর শিক্ষার প্রতি পিতার অবহেলা, মায়ের সাথে যোগাযোগের উপর স্বেচ্ছাচারী বা আইন বহির্ভূত বাধা, ভালো স্কুলে লেখাপড়া করা শিশুটি বর্তমানে শিক্ষা লাভের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
শহরের নূরপুর এলাকার বাসিন্দা আলমগীর ইসলাম নামের এই ব্যক্তি অন্য নামে জাপান টৌবাকো কোম্পানি রংপুর কার্যালয়ে, এসআর (?) পদে চাকুরিরত। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায়, নিজ নাম গোপন, অন্যের নাম ও সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকুরি নিয়েছেন। বিবাহিত আলমগীর ইসলাম, প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কলেজ পড়ুয়া অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির সহায়তা নিয়ে নতুন সংসার শুরু করলেও, তার উগ্র আচরণ, স্ত্রীর লেখাপড়ায় বাধা, সন্তানের প্রতি অবহেলা ইত্যাদি কারণে পরের স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দেন। অত:পর বাবার বাড়িতে থেকে নিজের মাস্টার্স পরীক্ষা সম্পন্ন এবং বাচ্চাটিকে আইজিএস স্কুল (কামাল কাছনা) নার্সারিতে ইংলিশ ভার্সনে ভর্তি করিয়ে পড়াতে থাকেন। কিন্তু আলমগীর ইসলাম, সাবেক স্ত্রীকে পুনরায় সংসার স্থাপনে বাধ্য করতে নানা পন্থা অবলম্বন করেও কোন ফল না হওয়ায়, পরিশেষে গত ১৩ অক্টোবর সন্তানকে দেখতে এসে কিছু কেনাকাটা করে দেয়ার নামে বাড়ির সামনে দোকানে যাওয়ার ভান করে সন্তানকে সরিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
স্ত্রীর পক্ষ হতে বাচ্চা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায়, থানায় অভিযোগ দায়েরসহ বাচ্চা উদ্ধারের আশায় বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইজিএস স্কুলসূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, শিশুটি গত ২৪ অক্টোবর হতে (স্কুল বন্ধের পর) স্কুলে অনুপস্থিত এবং গত ২৫ অক্টোবর হতে শুরু হওয়া ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর দেনমোহর তো চাইনি, বরং পূর্বে আমাকে ব্যবহার করে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়াসহ অনেকের ঋণ আমার বাবার পরিবার পরিশোধ করেছেন। তারপরও আমার সাবেক স্বামী তার সাথে সংসার না করলে, আমার পরিবারকে রংপুর ছাড়া করবেন বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখান। সাথে ব্লাকমেইল করার চেষ্টাও করেন বলে জানান। সর্বশেষ বাচ্চাটিকে আমার তত্ত্বাবধান থেকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে নিয়ে, পরিবারের সহায়তায় দয়াহীনভাবে সন্তানের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা সরাসরি যোগাযোগ করতে না দিয়ে আমাকে এবং শিশু বাচ্চা উভয়ের উপর মানসিক সহিংসতা এবং শিশুটির মানসিক বিকাশ ও শিক্ষা লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার খেলায় মেতে উঠেছেন। শিশুটির মা আরও বলেন, বাচ্চাটির সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষাই আমার চাওয়া।
এ ব্যাপারে আলমগীর ইসলামের বক্তব্য জানতে তার বাড়ি ও অফিসে যোগাযোগ এবং পরিশেষে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আপনার সাথে কেন কথা বলবো। পরে বাচ্চার লেখাপড়া বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার ছেলে লেখাপড়া করবে কি-করবে না আপনি জানার কে?
পিতা কর্তৃক সন্তানকে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বাচ্চাটি আনার চেষ্টা করলেও বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে ফেরত দেননি। পরে অভিযোগকারীকে আদালতে ১০০ ধারায় আবেদন করতে বলি। আর জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটা প্রবেশন অফিসারকে দেওয়া হয়েছে, তার সাথে কথা বলেন। প্রবেশন অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে মামলা হলে আমরা দেখতে পারি।
বিশ্লেষকরা আদালতের অনুমতি ছাড়া শিশু বাচ্চাকে সরিয়ে নিয়ে তার লেখাপড়ায় বাধা সৃষ্টির বিষয়ে মন্তব্যে, এ ঘটনাকে শিশুর মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও শিশু অধিকার সনদে সন্নিবেশিত নীতিমালার প্রতি অশ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন।ক্ষত পরিণতি চাপিয়ে দিয়ে; মায়ের সাথে ব্যক্তিগত ও সরাসরি দেখা সাক্ষাতের অধিকার এবং শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি উৎসাহিত করার পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। শিশুর শিক্ষার প্রতি পিতার অবহেলা, মায়ের সাথে যোগাযোগের উপর স্বেচ্ছাচারী বা আইন বহির্ভূত বাধা, ভালো স্কুলে লেখাপড়া করা শিশুটি বর্তমানে শিক্ষা লাভের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
শহরের নূরপুর এলাকার বাসিন্দা আলমগীর ইসলাম নামের এই ব্যক্তি অন্য নামে জাপান টৌবাকো কোম্পানি রংপুর কার্যালয়ে, এসআর (?) পদে চাকুরিরত। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায়, নিজ নাম গোপন, অন্যের নাম ও সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকুরি নিয়েছেন। বিবাহিত আলমগীর ইসলাম, প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কলেজ পড়ুয়া অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির সহায়তা নিয়ে নতুন সংসার শুরু করলেও, তার উগ্র আচরণ, স্ত্রীর লেখাপড়ায় বাধা, সন্তানের প্রতি অবহেলা ইত্যাদি কারণে পরের স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দেন। অত:পর বাবার বাড়িতে থেকে নিজের মাস্টার্স পরীক্ষা সম্পন্ন এবং বাচ্চাটিকে আইজিএস স্কুল (কামাল কাছনা) নার্সারিতে ইংলিশ ভার্সনে ভর্তি করিয়ে পড়াতে থাকেন। কিন্তু আলমগীর ইসলাম, সাবেক স্ত্রীকে পুনরায় সংসার স্থাপনে বাধ্য করতে নানা পন্থা অবলম্বন করেও কোন ফল না হওয়ায়, পরিশেষে গত ১৩ অক্টোবর সন্তানকে দেখতে এসে কিছু কেনাকাটা করে দেয়ার নামে বাড়ির সামনে দোকানে যাওয়ার ভান করে সন্তানকে সরিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
স্ত্রীর পক্ষ হতে বাচ্চা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায়, থানায় অভিযোগ দায়েরসহ বাচ্চা উদ্ধারের আশায় বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইজিএস স্কুলসূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, শিশুটি গত ২৪ অক্টোবর হতে (স্কুল বন্ধের পর) স্কুলে অনুপস্থিত এবং গত ২৫ অক্টোবর হতে শুরু হওয়া ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর দেনমোহর তো চাইনি, বরং পূর্বে আমাকে ব্যবহার করে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়াসহ অনেকের ঋণ আমার বাবার পরিবার পরিশোধ করেছেন। তারপরও আমার সাবেক স্বামী তার সাথে সংসার না করলে, আমার পরিবারকে রংপুর ছাড়া করবেন বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখান। সাথে ব্লাকমেইল করার চেষ্টাও করেন বলে জানান। সর্বশেষ বাচ্চাটিকে আমার তত্ত্বাবধান থেকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে নিয়ে, পরিবারের সহায়তায় দয়াহীনভাবে সন্তানের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা সরাসরি যোগাযোগ করতে না দিয়ে আমাকে এবং শিশু বাচ্চা উভয়ের উপর মানসিক সহিংসতা এবং শিশুটির মানসিক বিকাশ ও শিক্ষা লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার খেলায় মেতে উঠেছেন। শিশুটির মা আরও বলেন, বাচ্চাটির সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষাই আমার চাওয়া।
এ ব্যাপারে আলমগীর ইসলামের বক্তব্য জানতে তার বাড়ি ও অফিসে যোগাযোগ এবং পরিশেষে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আপনার সাথে কেন কথা বলবো। পরে বাচ্চার লেখাপড়া বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার ছেলে লেখাপড়া করবে কি-করবে না আপনি জানার কে?
পিতা কর্তৃক সন্তানকে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বাচ্চাটি আনার চেষ্টা করলেও বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে ফেরত দেননি। পরে অভিযোগকারীকে আদালতে ১০০ ধারায় আবেদন করতে বলি। আর জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটা প্রবেশন অফিসারকে দেওয়া হয়েছে, তার সাথে কথা বলেন। প্রবেশন অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে মামলা হলে আমরা দেখতে পারি।
বিশ্লেষকরা আদালতের অনুমতি ছাড়া শিশু বাচ্চাকে সরিয়ে নিয়ে তার লেখাপড়ায় বাধা সৃষ্টির বিষয়ে মন্তব্যে, এ ঘটনাকে শিশুর মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও শিশু অধিকার সনদে সন্নিবেশিত নীতিমালার প্রতি অশ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন।