July 27, 2024, 2:05 pm

সংবাদ শিরোনাম
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক পার্বতীপুরে নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যানদ্বয়ের সংবর্ধনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা হতে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ র‌্যাব-১০ এর অভিযানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা হতে ইয়াবাসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশু নিহত পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন দারুসসালাম লাফনাউট মাদ্রাসার দস্তারবন্দী নিবন্ধন ফরম বিতরণ শুরু পীরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর শিশু’র লাশ উদ্ধার মাদক মামলায় ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামী আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

বিদেশি জাহাজ থেকে উপকূলে খালাস হচ্ছে মাদক

বিদেশি জাহাজ থেকে উপকূলে খালাস হচ্ছে মাদক

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক 

 

মাদক চোরাচালানির কয়েকটি সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূলে সক্রিয়। আনোয়ারা উপজেলা এবং নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূল দিয়ে এক মাসে কয়েক কোটি টাকার মাদক খালাস হয়েছে। খালাসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি বিয়ার ও হুইস্কি। চোরাচালানিরা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত বিভিন্ন বিদেশি জাহাজ থেকে যান্ত্রিক নৌযানে করে মাদক খালাস করে উপকূলে নামাচ্ছে। এ তৎপরতা চলছে রাতের বেলায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। উপকূলে যে সব ব্র্যান্ডের মাদক সম্প্রতি খালাস হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হল্যান্ডের তৈরি হ্যানিকেন বিয়ার, ভিয়েতনামের তৈরি বিয়ার ট্রিপল থ্রি এবং থ্রি-আর। তাছাড়া স্কটল্যান্ডের তৈরি হুইস্কির মধ্যে খালাস হচ্ছে, ভ্যাট সিক্সটি নাইন, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট, জনি ওয়াকার, ব্ল্যাক লেবেল, রেড লেবেল ও সিভার্স রিগ্যাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরের শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সাঁড়াশি অভিযানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কন্টেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিপুল পরিমাণ মদ ধরা পড়ে। ওই অভিযানে বন্দর দিয়ে মাদক কমে যাওয়ায় অবৈধ মাদক বাজারে মদ ও বিয়ারের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে চোরাই বাজারে মদ ও বিয়ারের দামও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে বাজারের চাহিদা মেটাতে আনোয়ারা এবং পতেঙ্গার কয়েকটি দুর্বৃত্ত সিন্ডিকেট সমুদ্রপথে মদ ও বিয়ার চোরাচালানে তৎপরতা শুরু করেছে। বৈধপথে  মদ ও বিয়ার আমদানিতে ৬০০ শতাংশ শুল্ক থাকায় এভাবে ওসব মাদকের আমদানি কম হয়। ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও বারসমূহ ১০ শতাংশ মদ ও বিয়ার বৈধ আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনতো, বাকি ৯০ শতাংশ কিনতো অবৈধ আমদানিকারকদের কাছ থেকে।

এদিকে এ প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামিম আহমেদ জানান, বিভিন্ন জাহাজের ক্রুরা ডিউটি ফ্রি শপ থেকে নিজেদের নামে যেসব মদ-বিয়ার কিনছে সেগুলো সমুদ্রে চোরাচালানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আলাউদ্দিন জানান, কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকের একটি বড় চালান ধরা পড়ার খবর আছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরেও মাদকের চালান মাঝে মাঝে ধরা পড়ছে। ইনফরমাররা যখনই খবর দিচ্ছে, তখনই অভিযান চালানো হচ্ছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর