October 18, 2024, 1:21 pm

সংবাদ শিরোনাম
ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে টার্গেট ছিনতাইকারীদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের রাজউকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি বারুদের গন্ধ বিশ্ববাসী সহ্য করতে পারছেন না (পর্ব ১৩) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক

বিদেশি জাহাজ থেকে উপকূলে খালাস হচ্ছে মাদক

বিদেশি জাহাজ থেকে উপকূলে খালাস হচ্ছে মাদক

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক 

 

মাদক চোরাচালানির কয়েকটি সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূলে সক্রিয়। আনোয়ারা উপজেলা এবং নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূল দিয়ে এক মাসে কয়েক কোটি টাকার মাদক খালাস হয়েছে। খালাসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি বিয়ার ও হুইস্কি। চোরাচালানিরা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত বিভিন্ন বিদেশি জাহাজ থেকে যান্ত্রিক নৌযানে করে মাদক খালাস করে উপকূলে নামাচ্ছে। এ তৎপরতা চলছে রাতের বেলায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। উপকূলে যে সব ব্র্যান্ডের মাদক সম্প্রতি খালাস হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হল্যান্ডের তৈরি হ্যানিকেন বিয়ার, ভিয়েতনামের তৈরি বিয়ার ট্রিপল থ্রি এবং থ্রি-আর। তাছাড়া স্কটল্যান্ডের তৈরি হুইস্কির মধ্যে খালাস হচ্ছে, ভ্যাট সিক্সটি নাইন, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট, জনি ওয়াকার, ব্ল্যাক লেবেল, রেড লেবেল ও সিভার্স রিগ্যাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরের শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সাঁড়াশি অভিযানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কন্টেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিপুল পরিমাণ মদ ধরা পড়ে। ওই অভিযানে বন্দর দিয়ে মাদক কমে যাওয়ায় অবৈধ মাদক বাজারে মদ ও বিয়ারের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে চোরাই বাজারে মদ ও বিয়ারের দামও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে বাজারের চাহিদা মেটাতে আনোয়ারা এবং পতেঙ্গার কয়েকটি দুর্বৃত্ত সিন্ডিকেট সমুদ্রপথে মদ ও বিয়ার চোরাচালানে তৎপরতা শুরু করেছে। বৈধপথে  মদ ও বিয়ার আমদানিতে ৬০০ শতাংশ শুল্ক থাকায় এভাবে ওসব মাদকের আমদানি কম হয়। ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও বারসমূহ ১০ শতাংশ মদ ও বিয়ার বৈধ আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনতো, বাকি ৯০ শতাংশ কিনতো অবৈধ আমদানিকারকদের কাছ থেকে।

এদিকে এ প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামিম আহমেদ জানান, বিভিন্ন জাহাজের ক্রুরা ডিউটি ফ্রি শপ থেকে নিজেদের নামে যেসব মদ-বিয়ার কিনছে সেগুলো সমুদ্রে চোরাচালানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আলাউদ্দিন জানান, কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকের একটি বড় চালান ধরা পড়ার খবর আছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরেও মাদকের চালান মাঝে মাঝে ধরা পড়ছে। ইনফরমাররা যখনই খবর দিচ্ছে, তখনই অভিযান চালানো হচ্ছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর