January 17, 2025, 4:20 pm

সংবাদ শিরোনাম
সম্ভাবনার নতুন দ্বার ‘বাউ মুরগি’, চিলাহাটিতে ভাগ্য ফিরেছে নারীদের শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ টেকনাফ ২ বিজিবি”র অভিযানে আটক-৬ লক্ষ্মীপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে পেটালেন সিএনজি চালকরা মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন

মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির সাত সদস্য আটক

মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির সাত সদস্য আটক

দিদারুল আলম সিকদার কক্সবাজার প্রতিনিধি

 

 

কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজন কে নগদ ১৭ লাখ টাকাসহ আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। আজ বুধবার ভোরে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করা হয়। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের সাবরাং ত্রাণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেজর নাজিম আহমেদ। তার নেতৃত্বে ডিবির ওই দলটিকে আটক করা হয়। অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, আবদুল গফুরকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল।এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পরওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাকে ভোর রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া।

 

এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তারা। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।

আবদুলগ ফুরের বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার ভাইকে কক্সবাজার থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল অপহরণ করেছে। তাকে আটক করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমরা টাকা দেওয়ার জন্য রাজিও হই। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি টেকনাফ সেনাবাহিনীকে অবহিত করেছি। পরে ভোররাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর লম্বরী ক্যাম্পের কিছু দূরে ১৭ লাখ টাকা দেওয়ার পর আমার ভাইকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশের দল। ডিবি পুলিশের দলটি কক্সবাজার ছাড়ার পথে সেনাবাহিনীর ওই ক্যাম্পে তাদের আটক করা হয়। আটককরা সাতজনের মধ্যে একজন হলেন পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসির আরাফাত। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আটক করা ডিবি সদস্যদের জেলা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর