October 9, 2024, 4:47 pm

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

দূষণজনিত মৃত্যুর শীর্ষে বাংলাদেশ : ২০১৫ সালে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ

দূষণজনিত মৃত্যুর শীর্ষে বাংলাদেশ : ২০১৫ সালে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দূষণজনিত কারণে মৃত্যুর শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এর পরেই সমান সংখ্যক মৃত্যুর হার নিয়ে ২য় স্থানে রয়েছে সোমালিয়া। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৫ম। আর বিপরীতে সর্বনিম্ন মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে ব্রুনাই ও সুইডেন। দূষণজনিত মৃত্যুর বেশিরভাগ হয়েছে দূষণের কারণে সংক্রামক নয় এমন রোগে। যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট কমিশন অন পপুলেশন এন্ড হেলথের এক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী ৯০ লাখ মানুষ দূষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে এক চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ছিল দূষণজনিত। দূষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বায়ু দূষণ। দূষণজনিত মৃত্যুর পেছনে বায়ুদূষণের সরাসরি প্রভাব দুই তৃতীয়াংশ।

দূষণজনিত কারণে মারা যাওয়া মানুষদের শতকরা ৯২ শতাংশই মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ এবং দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে যেমন ভারত, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মাদাগাস্কার এবং কেনিয়ার মতো দেশগুলোয়। দূষণজনিত কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার ও সিওপিডি জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে দূষণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এছাড়া সর্বোচ্চ দূষণে মৃত্যুর মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৫ম এবং চীনের অবস্থান ১৬তম।

গবেষণায় জড়িত নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই-এ ইকান স্কুল অফ মেডিসিনের প্রফেসর ফিলিপ ল্যান্ড্রিগান বলেন, দূষণের চ্যালেঞ্জ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের থেকেও বেশি। এই দূষণ জনস্বাস্থ্যের নানা দিকের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ু দূষণ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি যার ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে ৬৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বাইরে থেকে আসা দূষণ যেমন গ্যাস, বাতাসে দূষণ-কণা এবং ঘরের ভেতর কাঠ ও কাঠকয়লা জ্বালানোর ধোঁয়া। এরপর যেটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে সেটি হলো পানি দূষণ। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ১৮ লাখ মানুষের। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে দূষণ থেকে মারা গেছে ৮ লাখ মানুষ।

১৮৮টি দেশে দূষণের এই জরিপ ও গবেষণা চালানো হয়েছে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গবেষণা যারা চালিয়েছেন তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থান তালিকায় ৫৫ নম্বরে এবং সেখানে ডিজেল থেকে দূষণের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে দূষণে মৃত্যুর হার বেশি এবং ধনী দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। দু’বছর ধরে চলা এই গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, দূষণের সঙ্গে দারিদ্র্য, অস্বাস্থ্য এবং সামাজিক অবিচারের বিষয়গুলোও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর