ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
দূষণজনিত কারণে মারা যাওয়া মানুষদের শতকরা ৯২ শতাংশই মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ এবং দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে যেমন ভারত, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মাদাগাস্কার এবং কেনিয়ার মতো দেশগুলোয়। দূষণজনিত কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস ক্যান্সার ও সিওপিডি জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে দূষণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এছাড়া সর্বোচ্চ দূষণে মৃত্যুর মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৫ম এবং চীনের অবস্থান ১৬তম।
গবেষণায় জড়িত নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই-এ ইকান স্কুল অফ মেডিসিনের প্রফেসর ফিলিপ ল্যান্ড্রিগান বলেন, দূষণের চ্যালেঞ্জ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের থেকেও বেশি। এই দূষণ জনস্বাস্থ্যের নানা দিকের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ু দূষণ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি যার ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে ৬৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বাইরে থেকে আসা দূষণ যেমন গ্যাস, বাতাসে দূষণ-কণা এবং ঘরের ভেতর কাঠ ও কাঠকয়লা জ্বালানোর ধোঁয়া। এরপর যেটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে সেটি হলো পানি দূষণ। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ১৮ লাখ মানুষের। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে দূষণ থেকে মারা গেছে ৮ লাখ মানুষ।
১৮৮টি দেশে দূষণের এই জরিপ ও গবেষণা চালানো হয়েছে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গবেষণা যারা চালিয়েছেন তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থান তালিকায় ৫৫ নম্বরে এবং সেখানে ডিজেল থেকে দূষণের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে দূষণে মৃত্যুর হার বেশি এবং ধনী দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। দু’বছর ধরে চলা এই গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, দূষণের সঙ্গে দারিদ্র্য, অস্বাস্থ্য এবং সামাজিক অবিচারের বিষয়গুলোও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।