মদনে স্ত্রীকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল স্বামী
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
স্ত্রী প্রিয়া আক্তারকে (২৬) ছুরি মেরে পালিয়ে গেল নান্দাইল উপজেলার জাল্লা গ্রামের জুয়াড়ী স্বামী কাশেম মিয়া। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারটার দিকে মদন উপজেলার ধানকুনিয়ার গ্রামের মদন-তাড়াইল সড়কের ধানকুনিয়া ব্রিজের নামায় এ ঘটনা ঘটে। প্রিয়া আক্তার নেত্রকোণা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
ধানকুনিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রোকন মিয়া জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে এগারটার দিকে প্রিয়া আক্তারের চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে এসে দেখি সে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে আমার স্বামী আমাকে মেরে ফেলেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। আমি ফতেপুর গ্রামের হোন্ডার চালক জাহাঙ্গীরকে মোবাইল ফোনে খবর দেই এবং তাকে মদন হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার স্বামী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে হোন্ডার চালক আলমগীর জানায়, ধানকুনিয়া গ্রামের রোকন মিয়া মোবাইল ফোনে আমাকে খবর দিলে আমি প্রিয়া আক্তারকে হোন্ডারযোগে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে প্রিয়া আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার জুয়াড়ি স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য মারপিট করত। আমরা গরিব মানুষ টাকা দেব কেমনে। তাই রাগে বাড়ি থেকে চলে আসি। সেও আমার পিছু নেয়। ধানকুনিয়া ব্রিজে আনুমানিক রাত সাড়ে দশটার দিকে কেন আমার পিছু নিয়েছ এ নিয়ে তার সাথে আমার বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সে আমাকে ছুরি দিয়ে পেছনে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আমার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আব্বাস আলী জানান, রাত আনুমানিক তিনটা পনের মিনিটে একটি হোন্ডাযোগে প্রিয়া আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।
এ ব্যাপারে তার স্বামী কাশেম মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
ওসি মো. শওকত আলী জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।