উজিরপুর প্রতিনিধি:- বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ শাহে আলম উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের অসমাপ্ত
কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দৌড়ঝাঁপ এবং ফোনালাপ করে
যাচ্ছেন। উন্নয়ন পাগল এই সংসদ সদস্য গত ১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত
বানারীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে বসে একের পর এক এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তি, বিভাগীয়
নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলীসহ প্রায় ১০ জন ব্যক্তির কাছে অসমাপ্ত সড়কের বেহাল দশা থেকে
উজিরপুর-বানারীপাড়াবাসীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তদবির করছেন। ঘটনাচক্রে এ সময় উপস্থিত ছিলেন
উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আঃ রহিম সরদার, চৌমোহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
ওয়ালিউল ইসলামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ১০/১৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি। এ সময় এলাকার উন্নয়নের
ব্যাপারে সংসদ সদস্যের তদবির দেখে উপস্থিত সকলেই বিমোহিত হন। আবেগ প্রবন এই সংসদ সদস্য
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে বানারীপাড়ার বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম
শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করেন। আওয়ামীলীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে
ছুটে যান জনমানুষের কাছে। এ কারণেই ইতিমধ্যে উজিরপুর-বানারীপাড়ার আস্থাভাজন ব্যক্তির নাম এমপি
শাহে আলম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম জানান, মহামারী করোনার
কারণে উন্নয়ন কাজে কিছুটা ব্যাহত হলেও এখন আর উজিরপুর ও বানারীপাড়ার কোন প্রাথমিক, মাধ্যমিক
ও কলেজের জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করতে হয় না। প্রায় বিদ্যালয়ই নতুন ভবন দেয়া হয়েছে। ছোটবড় অসংখ্য
রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট করা হয়েছে। উজিরপুর সাতলা সড়কের হারতা পর্যন্ত সংস্কারের কাজ প্রায় সম্পন্নের
পথে। হারতা থেকে সাতলা পর্যন্ত অতি দ্রæত সংস্কার করা হবে। সানুহার থেকে ধামুরা পর্যন্ত রাস্তার কাজ
সম্পন্ন হয়েছে। ধামুরা থেকে জল্লা হয়ে সাতলা পর্যন্ত রাস্তাটির ডিও লেটার দেয়া হয়েছে, অনুমোদনের
জন্য প্রক্রিয়াধীন। এসব কাজ অতি দ্রæত সম্পন্ন হবে। আগামী ১ বছরের মধ্যে উজিরপুরের সকল রাস্তা
সংস্কার ও উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হবে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, মাননীয়
সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম সড়কের যে সকল কার্যক্রম ইতিমধ্যে হাতে নিয়েছেন তা অতি দ্রæত সম্পন্ন
করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারী জানান, ওয়ার্ক অর্ডার
পাওয়া প্রায়ই কাজই পুরাতন স্টিমেটের। বর্তমানে সকল নির্মাণ সামগ্রীর দাম দ্বিগুন হয়েছে। এ কারণে
কাজ করতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।