মামুন উর রশিদ রাসেল নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা। ময়লা আবর্জনা ও পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।এ কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। এলাকাবাসী জানায়, এটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তো নয় যেন এক ভুতুরে বাড়ি। এমনই দৃশ্যটি চোখে পড়ে উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

জানা যায়, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভুতুরে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। বিল্ডিংয়ের পাশে স্টাফ কোয়ার্টার থাকলেও সেখানে কেউ বসবাস না করায় বিল্ডিংটি আজ ধংসের পথে।

উক্ত এলাকায় বসবাসকারী মহুবার রহমান এবং অপরজন মোজাম্মেল হক প্রতিনিধিকে অভিযোগ করে বলেন, এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নামে মাত্র কম্পাউন্ডার পদে ফেরদৌস আলম কে নিয়োগ দিলেও তিনি মাসের পর মাস অফিসে না এসে সরকারী সম্পদকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন এই কম্পাউন্ডার ফেরদৌস নিয়মিত অফিসে না আসায় এই এলাকার মানুষেরা ঠিক মতো স্বাস্থ্যসেবা এবং ঔষধপত্র পাচ্ছে না, এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই ইউনিয়নের হাজারো অসহায় মানুষ।অপরদিকে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বাজারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে জায়গাটিকে ডাষ্টবিনে পরিনত করার পাশাপাশি সেখানে কাঁদা পানি জমে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আজ ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করায় দূর্গন্ধের সৃষ্টি করে পরিবেশ দূষিত করছে। পার্শ্বে রয়েছে শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়। সামান্য বৃষ্টি হলে সেখানে কাঁদাপানি জমে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে না পারায় ব্যহৃত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।শিক্ষার মান উন্নয়নে পাবলিক টয়লেট বন্ধসহ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূনরায় চালুসহ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গ্রামাঞ্চলে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জোর দাবী এলাকাবাসীর।

এবিষয়ে শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ময়লা আবর্জনা ও পাবলিক টয়লেটের দূর্গন্ধে ছাত্রীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে না। এমনিতেই করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছে। বিষয়টি বারংবার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোন ফল হয়নি।

শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া মনি জানান, সামান্য রোদ হলে পুরো এলাকায় পচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আমরা স্কুলের ছাত্রীরা কমন রুমে বসে থাকতে পারি না, তাছাড়া পঁচা দূর্গন্ধের কারণে পরিবেশ দূষন হওয়ায় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হইতেছি।

এসব অনিয়মের বিষয়ে কম্পাউন্ডার ফেরদৌস আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন ঔষধ চায় আমি দিতে না পারায় তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী জানান, ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন কর্মী রয়েছে, পাশাপাশি সপ্তাহে তার ৩দিন অফিস করার কথা। অভিযোগ প্রমানিত হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।আর এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তবে যত দ্রুত সম্ভব উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সংস্কার করা হবে।