রংপুর ব্যুরো:-
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রংপুর জেলা ও মহানগর শাখার নেতারা
বলেন, আমরা রংপুরের সকল ব্যবসায়ী গত তিন বৎসর যাবৎ করোনা ভাইরাস এর
কারণে সারা বাংলাদেশের ন্যায় রংপুরের ব্যবসায়ীরা প্রচলিত আইন মেনে লগ ডাউনসহ
বিভিন্ন নির্দেশ মেনে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে এসেছি। এতে আমাদের নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত
ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে। তার উপর ব্যাংক, এনজিও ব্যক্তিগত ঋণ, দোকান
ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, নিজের সংসার খরচ, ছেলে মেয়ের লেখাপড়া চালাতে হিমসিম
খাচ্ছি। আবার ভ্যাট, ট্রেক্স, ট্রেড লাইন্সেস, বিভিন্ন সংস্থা, ভ্রাম্যমান আদালত দ্বারা জেল
জরিমানাসহ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে
জ্বালানী সংকট নিয়ে গত ২০/০৬/২০২২ তারিখ থেকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে রাত ৮টায় সকল দোকান বন্ধ করার ঘোষণা
করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রংপুরের সকল ব্যবসায়ীরা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে শত কষ্টের মাঝেও পালন করে আসছে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও
বেলা ৩টায় অফিস আদালত, সপ্তাহে ২ দিন স্কুল কলেজ বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও চলতি মাসে এস.এস.সি পরীক্ষা সামনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা এবং বাৎসরিক
পরীক্ষা চলমান আছে। এতো কিছু বাধা নিষেধ থাকার পরও আমরা জানতে পারলাম রংপুরে
শিল্প বাণিজ্য মেলার নামে অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চলছে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দেশের সকল নাগরিকদের নিজ খরচ কমিয়ে চলতে হয়েছেন। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের
আয়োজন সীমিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কথা বলেছেন। তারপরও যদি মেলার অনুমোদন
দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের ব্যবসায় আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে আমাদের বিনীত আবেদন করছি যে, রংপুরে যেন কোন প্রকার মেলার অনুমোদন না
দেয়ার জন্য। রংপুরের ব্যবসায়ীদের ক্ষতির হাত থেকে এবং রাস্তায় নামা থেকে বাঁচানোর
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল
প্রকার মেলা বন্ধ করা না হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রংপুর জেলা ও মহানগর
শাখার সকল ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে মহা-সমাবেশের মাধ্যমে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি
ঘোষণা করা হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির রংপুর জেলা ও
মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকবৃন্দ।