January 14, 2025, 4:23 pm

সংবাদ শিরোনাম
তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ধর্ষণের অভিযোগে, নারীর সংবাদ সম্মেলন

সিলেট বিভাগীয় অফিস :

ধর্ষণের অভিযোগ জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে নোয়া গ্রামের রীনা বেগম জৈনক আব্দুছ বাছিত কে দোষী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, অভিযুক্ত আব্দুল বাছিত বাচ্চু এবং তার বন্ধু আব্দুল বাছিত তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করেছে এবং মামলা থেকে না নেওয়ায় জেকিগঞ্জ থানার ওসি মোশারফ হোসেন এসআই মোহন এর উপর অভিযোগ করেছেন রীনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঘটনার উদ্বৃতি দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি খুব দুঃখের সাথে প্রকাশ করছি যে আমি খুবই দারিদ্র পরিবারের একটি মেয়ে। আমি বাবা হারা মেয়ে আমার পরিবারে মা আর আমার এক ভাই। আমাদের পরিবারের আয়ের কোন উৎস নেই। আতœীয় স্বজনদের সহযোগিতয় আমাদের পরিবার চলে। তবুও আমাদের পরিবার চলতে অনেক কষ্ট হয়। আমি আমার আতœীয় স্বজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা যোগাড় করি একটি ব্যবসা করার জন্য। মেয়ে লোক হিসেবে তাই ভেবে চিন্তে একটি টেইলার্স প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ট্রেনিং নিয়ে একটি দোকান করার উদ্যোগ গ্রহন করি। আমি গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চু পিতা মুত বলই মিয়া চৌধুরী সাং খলাদাপনিয়া পৌঃ ইছামতি থানা জকিগঞ্জ জেলা সিলেট। তাঁর নিকট হতে কালিগঞ্জ বাজারের চৌধুরী প্লাজায় নীচ তলায় একটি দোকান ভাড়া নেই। ওই দোকান ডেকোরেশন করে বিসমিল্লাহ টেইলার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করি। আমি ব্যবসা শুরু করিলে মার্কেট ও ঐ দোকানের মালিক আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চু আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সব সময় বসে থাকে। লেডিস টেইলার্স কিন্তু লেডিস কাষ্টমার পুরুষ লোক দেখে লজ্জায় আসেনা। যেহেতু তিনি ঐ দোকানের মালিক আমি কিছু বলতে পারিনা। আমার দোকানের কারিগর একজন যুবতী মহিলা আরেকজন ছাত্রী। চা নাস্তা আনার জন্য তাদেরকে বাহির করে দেয় এতে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি একদিন বললাম যে ভাই আপনি মার্কেটের মালিক কি বলবো এভাবে বললাম যে আপনি থাকলে মহিলা কাস্টমার আসতে চায়না পুরুষ লোক দেখে আসেন্া। আামি বলাতে সে আমাকে দোকানের ভেতরে মারপিট শুরু করে এমনকি ওড়না পেছিয়ে গলায় চেপে ধরে বলে বেশি মাতামাতি করলে মেরে ফেলবো। আমি হতাশ হয়ে যাই যে সৎভাবে চলতে গিয়ে এত সমস্যা তিনি মার্কেটের মালিক হওয়ায় আমার দোকানে বসে প্রতিদিন গিয়া আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাকে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে উত্যক্ত করা সহ আমাকে ফুসলাইতে থাকে। আমাকে নানান প্রলোভন দেখিয়ে বলেন যে সুন্দরী মেয়ে ব্যবসা করার দরকার নাই। আমার কথা মতো চলতে হবে আমি যা বললো তাহা গ্রহন কর। আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চু আমার দোকানে এসে আমাকে বলে আমার সাথে মেলামেশা না করিলে দোকানে তালাবন্ধ করিয়া দিবে। আমি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে ২/০৪/২২ইং তারিখ শনিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় দোকান খুলতে আসিলে দেখি আমার তালা ভেঙ্গে অন্য একটি তালা লাগানো। আমি অতিষ্ট হইয়া বিষয়টি কালিগঞ্জ বাজার পরিচালা কমিটির লোকদের অবহিত করি। এভাবে আমার উপর পাশবিক হত্যাচারের হুমকি দেয়। এভাবে বলে আমার কথায় রাজি না হলে তোর মা ্ভাইকে সন্ত্রাসী দিয়ে ধরে এনে মেরে ফেলবো। অখথ্য ভাষায় আমাকে গালি গালাজ করে যে কু প্রস্তাবে আমি রাজি হলে দোকান কোঠা আমাকে দিয়ে দিবে। আমি এসব থেকে সরে দাড়াঁই । আমি অসুস্থ ছিলাম তখনও আমাকে এসব প্রস্তাব দেয়। আমি সুস্থ হয়ে ২৮/৩/২২ ইং উনার কাছে এসে কাকতি মিনতি করে বলি এমনকি দুপায়ে ধরে বলি ভাই আমি কি এমন করলাম আমার ইজ্জত নষ্ট বরতে চান তখন আমাকে লাথি মেরে বলে আমার বন্ধু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল বাছিত উনার কাছে গিয়ে বলতাম যে দু বন্ধুর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতাম নইলে আমাকে মেরে ফেলবে। দুজন মিলে আমাকে প্রলোভন দিয়ে দোকানে নিয়ে আমাকে দর্শন করে। গত ৪/৪/২২ ইং তারিখে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহন না করে বলেন মুখে বলার জন্য এমনকি ওসি মোশারফ হোসেন বলেন আব্দুল বাছিত চৌধুরী প্রভাবশালী লোক নানান কথা বলে এস আই মোহন ব্যাক্তি গত অভিযোগ লিখে আমার কথা মতো কিছু না লিখে তাদের ইচ্ছে মতে লিখে আমার কাছ থেকে জোড় করে সাইন নেয়। আমি বললাম স্যার একটু পড়ে দেখি। আমার কথা ওসি পাত্তা দেয়নি আরও রাগান্বিত হয়ে যান। আমি কয়েস মাস থানায় আসা যাওয়া করি মামলা হয়না। এসপি ফরিদ উদ্দিন স্যার যাওয়ার পর নতুন এসপি স্যার আসার পর একটি ঘোষণা দেন যে কোন মহিলা যদি নারী নির্যাতন মামলা করতে আসেন আর মামলা না নেয়া হয় তাহলে ওসির চাকির থাকবে না এ ঘোষণা দেয়ার পরই আমার মামলা ৫ মাস পর ৩/৯/২২ ইং তারিখে মামলা রেকর্ড হয়।

Attachments area
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর