January 15, 2025, 10:56 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মানবাধিকার সংগঠনের নামে চলছে প্রতারণা:প্রদীপ চন্দের মুখোস ফাস

মামুন উর রশিদ বিভাগীয় প্রধান রংপুর :-
কখনো সনাতন ধর্মাবলম্বী আবার কখনো মুসলিম, কখনো সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান কখনো আন্তর্জাতিক সম্মিলিত সাংবাদিক কল্যাণ আইন সহায়তাকারী সংস্থার চেয়ারম্যান আরো রয়েছে প্রদীপ মানবাধিকার সংস্থা ও প্রদীপ সিকিউরিটি সার্ভিস। পরিচয়ের যেন শেষ নেই প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের।সাথে আছে ওয়াকিটকি সহ বিভিন্ন লোভনীয় বিজ্ঞাপন। এভাবে প্রতারনা করে যাচ্ছেন প্রদীপ চন্দ্র বর্মন।প্রতিবাদ করলেই মামলা করার হুমকি সহ নির্যাতন। মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের অপকর্ম। সুন্দরী মেয়েদের পদবী ও মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে আকৃষ্ট করা সহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রদীপ চন্দ্র বর্মন।এক সময়ে ক্রিয়া পরিদপ্তরের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় প্রদীপ চন্দ্র বর্মন ক্রিয়া পরিদপ্তরে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করা অবস্থায় ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে মামলা হয় প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের নামে।২০১৯সালে অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি সরবারহ করার অপরাধে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় মামলা হয় প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের নামে। এতকিছুর পরেও থেমে নেই প্রদীপ চন্দ্র বর্মন। প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের দূর্নীতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে, মানবাধিকার সংগঠনের নামে প্রতারণা।প্রদীপ চন্দের প্রতারনার শেষ কথায়।এই প্রতিবেদ মামুন উর রশিদ রাসেল জাতীয় অপরাধ অনুসন্ধান দৈনিক  পত্রিকা প্রাইভেট ডিটেকটিভ জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ক্রাইম তালাশ পত্রিকার রংপুর বিভাগীয় প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যোগাযোগ করি প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের সাথে। অর্থনৈতিক লোভে প্রদীপ চন্দ্র বর্মন সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রংপুর বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ও নীলফামারী জেলা সভাপতি ঘোষণা দেন আমাকে।‌শুরু হয় তথ্য সংগ্রহ । কিছুদিন পর আমাকে আন্তর্জাতিক সম্মিলিত সাংবাদিক কল্যাণ আইন সহায়তা কেন্দ্র সংস্থার রংপুর বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেন।অনুসন্ধানে বেড় হয়ে আসে প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের ভয়ংকর প্রতারনার ফাঁদ। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রদীপ চন্দ্র বর্মন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্মিলিত সাংবাদিক কল্যাণ আইন সহায়তা কেন্দ্র, প্রদীপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা প্রদীপ সিকিউরিটি সার্ভিস সহ চারটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতেন প্রদীপ চন্দ্র। সদস্যদের জন্য ওয়াকিটকি লোভনীয় পদবী ভাল বেতনের লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা
এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় চট্রগ্রামের রুবেল হুসেনের সাথে। রুবেল হোসেন বলেন ওয়াকিটকি ও পরিচয়পত্র দেয়ার কথা বলে প্রদীপ চন্দ্র আমার কাছ থেকে ১০০০০ টাকা গ্রহণ করেন।আমি ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকায় প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের সাথে দেখা করলে সে আমাকে হুমকি ও অপমান করে তাড়িয়ে দেন।কথা হয় ফরিদপুর জেলার মাহামুদুল ইসলাম যুক্তিবাদীর সাথে। তিনি বলেন আমাকে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে আমার কাজ থেকে ২৬০০০ টাকা নেয় পরবর্তীতে মোট অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দাওয়ায় আমাকে বহিস্কার করেছেন।এরকম অনেক ভুক্তভোগী প্রতারনার শিকার হয়েছেন প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের কাছে। শুধু অর্থ প্রতারনায় শেষ নয়।নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মন্ত্রানালয়ের চাকুরীজীবি পরিচয় দিয়ে নারী সদস্যদেরকে বিবাহের লোভ দেখিয়ে যৌন হয়রানির শিকারের চেষ্টার তথ্য মিলেছে প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি বলেন প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী ও একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান রয়েছে।স্ত্রী সন্তানকে ও নির্যাতন করে প্রদীপ চন্দ্র বর্মন। প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের সংগঠনের কার্যকারী কমিটি ভাইস চেয়ারম্যানসহ ,মহাসচিব , সিনিয়র মহাসচিব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন অসংখ্য ব্যাক্তি।মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরিচয় পত্র ছাড়া আর কিছুই পাইনি ভোক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আকৃষ্ট হয়ে মানব সেবার মানুষিকতা নিয়ে প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের সংগঠনে যোগ দেই। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কোন রকম যোগাযোগ রাখেনা প্রদীপ চন্দ্র বর্মন। নেই কোন মানবাধিকার কার্যক্রম।চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রদীপ চন্দ্র বর্মন কিভাবে তিনটি মানবাধিকার সংগঠন ও একটি সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেন এ প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন ব্যাপারে কথা হয় প্রদীপ চন্দ্র বর্মনের সাথে, প্রদীপ চন্দ্র বর্মন বলেন সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে। কাগজপত্র সম্পুর্ন আছে প্রদীপ মানবাধিকার সংগঠনের। রেজিষ্ট্রেশনের কাজ চলমান আছে আন্তর্জাতিক সম্মিলিত সাংবাদিক কল্যাণ আইন সহায়তা কেন্দ্র সংস্থার। আন্তর্জাতিক সম্মিলিত সাংবাদিক কল্যাণ আইন সহায়তা কেন্দ্র সংস্থার রেজিষ্ট্রেশন করতে ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হবে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। মানবাধিকারের বিন্দুমাত্র কার্যক্রম নাথাকা সত্ত্বেও কিভাবে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী প্রদীপ চন্দ্র মানবাধিকার সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছেন এবিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রশাসনের দিকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার পরেও কিভাবে প্রদীপ চন্দ্র বর্মন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সনদ প্রাপ্ত হন। এবিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী মানুষেরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদারকির অভাবে অসংখ্য ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনের সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কার্যক্রম তদারকি নাথাকার কারনে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু নামধারী মানবাধিকার সংগঠন।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর