আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
তালেবান সরকারে পূর্ণ অংশগ্রহণ চেয়ে কাবুলে বিক্ষোভ করেছেন আফগান নারীরা। এসময় প্রেসিডেন্ট প্যালেসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে যোদ্ধারা।
প্রথমে কাবুলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে তাদের ঘিরে রাখে তালেবানরা। পরে ঝুঁকি নিয়েই প্রেসিডেন্ট প্যালেসের দিকে এগুলে, দেয়া হয় বাধা। সরকার গঠনের আগে তালেবানের বিরুদ্ধে নারীদের এমন বিক্ষোভকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে, শিক্ষা ও কাজের সুযোগের দাবিতে হেরাতেও হয়েছে বিক্ষোভ। সম্প্রতি আফগান সরকারের উচ্চ পদে নারীর অংশগ্রহণ থাকছে না বলে জানায় তালেবান।
মার্কিন বাহিনী কাবুল ছাড়ার ৪ দিন পর আবারো চালু হল হামিদ কারজাই বিমানবন্দর। তবে শুধুমাত্র ত্রাণ সহায়তা গ্রহণের জন্য বিমানবন্দরটি চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানে কাতারের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলছেন, আফগান কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিমানবন্দরের রানওয়ের সংস্কার শেষ হয়েছে। শিগগির আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালু হবে। আল-জাজিরা বলছে, মাজার-ই-শরিফ ও কান্দাহারে দুটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এদিকে, আফগানিস্তানকে সহায়তার জন্য আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ। ১৩ সেপ্টেম্বর জেনেভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আসবে এনিয়ে সিদ্ধান্ত।৩১শে সেপ্টেম্বর মার্কিন বাহিনী কাবুল ছাড়ার পর, বিমানবন্দরের দখল নেয় তালেবান। এরপর থেকে আর কোনো বিমান ওঠানামা করতে দেখা যায়নি।
তালেবানের গলায় কাঁটা হয়ে আছে বিরোধীতের নিয়ন্ত্রণে থাকা পাঞ্জশির। চলছে দুপক্ষের তীব্র লড়াই। শুক্রবার তালেবানের প্রদেশটির দখল নেয়ার ঘোষণার পরপরই কাবুলে শুরু হয় আনন্দ-উল্লাস। শোনা যায় গুলির শব্দও। এতে অন্তত ১৭ জনের জনের মৃত্যু খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
পরে পাঞ্জশির দখলের দাবি ভিত্তিহীন বলে জানান সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এন/আর/এফের নেতা আমরুল্লাহ সালেহ। তিনিআরো জানান, সেখানকার টেলিফোন, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
//ইয়াসিন//