October 6, 2024, 7:33 pm

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে?

আন্তর্জাতিক  ডেস্কঃঃ

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ জাওজানে একটি কারাগার দখল করার পর সব বন্দীকে মুক্ত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শেবারগান শহরে শনিবার তালেবান বিদ্রোহীরা এক আক্রমণ চালানোর পর ওই কারাগারটি থেকে শত শত বন্দী বেরিয়ে আসছে।

তালেবান ইতোমধ্যেই এ শহরটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিয়েছে। এটি হচ্ছে গত কিছুদিনে তাদের দখলে চলে যাওয়া দ্বিতীয় শহর।

শুক্রবার তীব্র যুদ্ধের পর তালেবান এই শহরটির সরকারি ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ দখল করে। তবে এ অঞ্চলের একজন কাউন্সিল প্রধান বাবুর এশচি বিবিসিকে বলেছেন, তালেবান এখন পুরো শহরটিরই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে , শুধু সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি ছাড়া। তবে সেখানেও এখন যুদ্ধ চলছে। সারা আফগানিস্তানে বিভিন্ন অংশে যখন যুদ্ধ চলছে, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য এটি আরেকটি বড় আঘাত।

সম্প্রতি মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন অংশে তীব্র যুদ্ধ চালিয়ে তালেবান দ্রুতগতিতে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে।

শুক্রবার তারা নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারাঞ্জ শহর দখল করে, যা তালেবানের হাতে চলে যাওয়া প্রথম প্রদেশিক রাজধানী। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত, দক্ষিণাঞ্চলীয় লস্কর গাহ এবং কান্দাহারের আরো কিছু শহরের ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে তালেবান যোদ্ধারা।

শেবারগান শহরটি হচ্ছে সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুর রশিদ দোস্তামের একটি শক্ত ঘাঁটি। তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে তার অনুগত সমর্থকরা।

আফগানিস্তানে গত দুই মাসে তালেবান গোষ্ঠী যত এলাকার দখল নিয়েছে, ২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কখনওই এত বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে আসেনি।

গত ২০ বছরে, আফগানিস্তানের কোন অংশ কার দখলে তার মানচিত্র ক্রমাগত বদলেছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সাথে সাথে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তালেবানের হাত কার্যত আরো শক্ত হয়েছে। তারা সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে বহু জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে।

আমেরিকান সৈন্যরা এবং তাদের নেটো ও আঞ্চলিক জোট বাহিনী ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। আমেরিকায় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সাথে জড়িত ওসামা বিন লাদেন এবং আল কায়েদার অন্যান্য নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিল তালেবান। কিন্তু এলাকায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর অব্যাহত উপস্থিতি, আফগান সরকারি বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সহায়তায় শত শত কোটি ডলার অর্থব্যয়ের পরেও তালেবান নিজেদের আবার সুসংহত করেছে এবং প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ক্রমশ তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করেছে।

তাদের প্রাধান্য মূলত কেন্দ্রীভূত ছিল দেশটির দক্ষিণে এবং দক্ষিণ পশ্চিমে প্রথাগতভাবে তাদের শক্ত ঘাঁটিগুলোর আশপাশের এলাকায়, এবং উত্তরে হেলমান্দ, কান্দাহার, উরুযগান এবং যাবুল প্রদেশে। এছাড়াও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ফারিয়াব পর্বতমালার দক্ষিণদিকে ও উত্তর পূর্বের বাদাখশান পাহাড়ি এলাকাতেও তাদের প্রাধান্য ছিল বেশি।

//ইয়াসিন//

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর