ওই অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে এমন বন্যা ও প্রাণহানি দেখা যায়নি। ইউরোপের নেতারা এ দুর্যোগের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।
বন্যা এখন পর্যন্ত জার্মানিতেই ১০০-র বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বেলজিয়াম।
এর বাইরে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসও ভারি বর্ষণে বিপর্যস্ত বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শনে যাওয়ার আগে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, এবারের বন্যার তাণ্ডবলীলা দেখে তিনি ‘হতবাক’।
“অনেকে সারা জীবন ধরে যা গড়েছেন, সবই হারিয়েছেন,” বলেছেন তিনি।
বন্যার কারণে জার্মানির অনেক এলাকায় ফোন নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে পড়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য সড়ক। এক লাখের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন।
জার্মানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নর্থ রাইন-ভেস্টফালিয়া, রাইনল্যান্ড-পালাটিনাট ও সারল্যান্ড রাজ্য।
রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটের আরভেইলার জেলার প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। তবে নিখোঁজের ওই সংখ্যা প্রতি ঘণ্টায় ‘কমে আসছে’ বলেও আশ্বস্ত করেছেন তারা।
রাজ্যটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রজার লেভেন্তজ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তার আশঙ্কার কথা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
“আপনি যখন দীর্ঘসময় কারও কাছ থেকে সাড়া পাবেন না, সবচেয়ে খারাপটা হয়েছে বলেই আপনার আশঙ্কা থাকবে,” বলেছেন তিনি।