বুরকিনা ফাসোর একটি গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৩২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতভর আবারো ভয়ংকর জঙ্গি হামলার শিকার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো।
নাইজার সীমান্তের কাছে ইয়াঘা প্রদেশের সোলহান গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালায় আততীয়রা। পুড়িয়ে দেয়া হয় তাদের দোকাপাট, ঘরবাড়ি। এ ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে বুরকিনা ফাসো সরকার।একে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দেয়া হলেও, কোনো গোষ্ঠী এখনও এর দায় স্বীকার করেনি।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এই হামলাকে ভয়াবহতম বলছে দেশটির সরকার। শনিবারের এই ভয়াবহ হামলার পর সেদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন ভয়ংকর এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসো সরকার জানিয়েছে, জঙ্গিরা হঠাৎ করেই নাইজার দেশ সংলগ্ন ইয়াগহা প্রদেশের সোলহান গ্রামে হামলা চালায়। একেবারে রাতের অন্ধকারে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই হামলা চলে। এরপর গ্রামের বাড়িঘর ও বাজার জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা। যার ফলে ঘুমন্ত অবস্থাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পালানোর সুযোগ পায়নি কেউ।
আলজাজিরার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একটা সময় পশ্চিম আফ্রিকার এসব অঞ্চলে বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু একাধিক দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে লাগাতার বোকো হারামের ওপর চলে হামলা। তাতে কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পড়ে বোকো হারাম।
তবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নাইজার এলাকায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএস নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছে বোকো হারামের মতো সংগঠন। তাতে শক্তি বেড়েছে। আর সেই শক্তির জানান দিতেই বুরকিনার ফাসোর এই হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
//ইয়াসিন//