ধর্ষিত ১০ বছরের শিশুর গর্ভে শিশুর জন্ম, দায়ী ছোট মামা
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
ভারতের চন্ডিগড়ের ধর্ষণের শিকার হওয়া ১০ বছরের কন্যাশিশুর জন্ম দেয়া বাচ্চাটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। নতুন ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে বাচ্চাটির বাবা মেয়েটির ছোট মামা।
এর আগে কন্যাশিশুটির বরাতে ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির বড় মামাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বাচ্চা জন্ম দেয়ার পরে শিশুটির ডিএনএ বড় মামার সঙ্গে মিলেনি, যদিও ওই ব্যক্তিও ধর্ষণ করেছে বলে মনে করছে পুলিশ। তখন পুলিশ পড়ে যায় মহাবিপাকে। এরপরে শিশুটির দেয়া ভাষ্যে ওই ব্যক্তির ছোটভাইকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের অনুমতি নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করার পরে দেখা যায় বাচ্চাটির বাবা তার ছোট মামা।
পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শিশুটির ২ মামা ও প্রতিবেশীদের ডিএনএ সংগ্রহ করে। পুলিশ সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শিশুটিকে আরো অনেকে ধর্ষণ করেছে এবং তাদেরকে হয়তো ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধান অভিযুক্ত শিশুটিকে ধর্ষণ করলেও ডিএনএ পরীক্ষায় এটা পরিষ্কার যে কন্যাশিশুর বাচ্চাটির বাবা তার ছোট মামা। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুরজিত কোর বলেছেন, এই মামলার সম্পূরক চালান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতে দাখিল করা হবে।
ক্রমাগতে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়া ১০ বছরের শিশুটি গত আগস্টে চন্ডিগড় সরকারি হাসপাতালে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। মেয়েটি অবশ্য জানে না যে সে সন্তানের জন্ম দিয়েছে, তাকে বলা হয়েছে পাকস্থলী থেকে পাথর সরানো হয়েছে। এর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মেয়েটির ঝুঁকির কথা চিন্তা করে গর্ভপাতের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।