ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার শাস্তি : সরিষাবাড়ীতে সালিশ বৈঠকে ৫ ব্যক্তিকে জুতাপেটা
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) উত্ত্যক্ত করায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ৫ ব্যাক্তিকে শনিবার বেলা ১১টায় জুতা পেটা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
করগ্রামবাসী, সালিশ বৈঠক ও উত্ত্যক্তকারীদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম ময়েন উদ্দিন দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসার উন্নতির জন্য মাদরাসা মাঠে গত বুধবার রাত থেকে ৪ দিনব্যাপী ধর্মসভা শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় একই গ্রামের ৯ম-শ্রেনীর শিক্ষার্থী (১৫) ধর্মসভা শুনার জন্য সভায় যায়।
শিক্ষার্থী মেলাতে ঘুরতে গেলে একই গ্রামের আসাদুল্লাহর বখাটে ছেলে মমিন মিয়া,মুছা মিয়া(১৬),মহব্বত উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ(২৮),কাজিম উদ্দিনের ছেলে শান্ত মিয়া(১৭) ও শহীদ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর(১৬) ধ্ক্কাা দিয়ে শিক্ষার্থীকে মাটিতে ফেলে দেয়। শিক্ষার্থীর বোন জামাই প্রতিবাদ করলে এ সময় বখাটেদের সাথে ও শিক্ষার্থীর পরিবারের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। পরে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়।
গত শনিবার বেলা ১১টায় মাদরাসা মাঠে মাদরাসার সহ সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক বসানো হয়। পরে সালিশ বৈঠকে ৫ বখাটের জুতাপেটার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাদান ইউনিয়নের স্থানীয় করগ্রামের ইউপি সদস্য লাল মিয়া ৫ বখাটেকে জুতা পেটা করে ছেড়ে দেন। শিক্ষার্থীর বাবা জানায়, মেয়ে ধর্মসভায় গেলে ৫ বখাটে বিরক্ত করে। মাটিতেও ফেলে দেয়। সালিশ বৈঠকে ৫ বখাটেকে জুতাপেটা করা হয়েছে।
বখাটে মমিন মিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ বলেন, ছেলে অপরাধ করেছে । তাই সালিশে জুতাপেটা করেছে। করগ্রামের আব্দুল করিম বলেন,গ্রামের সবার কথামতে ৫ জনকে জুতা মাইরে ছাইরে দেয়া হইছে। করগ্রামের ইউপি সদস্য লাল মিয়া বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাম্য বৈঠকে আমি ৫ বখাটেকে জুতা পেটা করে ছেড়ে দিয়েছ্ ি।
মাদরাসার সহ সভাপতি ও সালিশ বৈঠকের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুসারে ৫ বখাটেকে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে জুতা পেটা করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।