ফিলিস্তিনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের আল-দায়া আটক
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল-দায়াকে আটক করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাকে রামাল্লাহ থেকে আটক করা হয়। নির্বিচারে আটকের প্রতিবাদে দায়া এখন অনশন করছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। গতকাল বুধবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর খবরটি জানিয়েছে। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা কয়েক দিন আগে আল-দায়াকে গ্রেফতার করে। দায়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নীতিমালার সমালোচনা করেছেন। এইভাবে নির্বিচারে তাকে আটক করার প্রতিবাদে দায়া অনশন শুরু করেছেন বলে দাবি করেছে আল দায়ার পরিবার। গত সোমবার আল-দায়ার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ চারদিন আগে আমাদের যোদ্ধা ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল-দায়াকে অন্যায় ও অবৈধভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।’ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ফিলিস্তিনিরা ভালোভাবে জানেন শহীদ ইয়াসির আরাফাতের বিভিন্ন মিশন এবং ভ্রমণের সময় তিনি (দায়া) তার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলন এবং জনগণের অধিকারের সুরক্ষা প্রশ্নে প্রত্যেক ফিলিস্তিনির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে সফর করেছেন। নিজের স্বচ্ছতা, মানবিকতাবোধ এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধারাবাহিক সংগ্রামের জন্য পরিচিত ছিলেন দায়া। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহ প্রচারের কোনও এজেন্ডা তার নেই।’ পরিবার জানিয়েছে, দায়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা গোয়েন্দাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ওয়েব পেজের অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের নীতিমালা ও প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কারও কারও সমালোচনা করার কারণে দায়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে দায়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দায়ার সঙ্গে তাদেরকে দেখা করা এবং যোগাযোগ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে পরিবার। তাদের দাবি, দায়াকে অজ্ঞাত কোনও স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।