দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: মাহী বি চৌধুরী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নিজের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য (এমপি) মাহী বি চৌধুরী। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এমপি মাহী বলেন, একটি অভিযোগ এসেছে আমার নামে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার বক্তব্য দরকার ছিল। দুদক আমায় ডেকেছে, আমি কথা বলেছি। আগামি ২৭ তারিখ (আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে আমি আমার পুরো বক্তব্য খোলাসা করবো। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে, অভিযোগের ভিত্তি কতটুকু সেগুলো অবশ্যই আমরা দেবো, সেগুলো সেদিন-ই জানাবো। আমি মনে করি দুদকে যেহেতু অভিযোগগুলো এসেছে দুদক প্রকৃত অথরিটি। সত্য উদঘাটনের জন্য সময় দরকার। আমার কাছে দুদক যে তথ্য চেয়েছে দেবো। দুদক তার মতো করে কাজ করবে। পাশাপাশি আমার কিছু কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ওই সংবাদ সম্মেলনে-ই তা আমি খোলাসা করবো। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহী বি চৌধুরী বলেন, প্রমাণের কিছু নেই, আমি নির্দোষ। হয়রানি করা হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, না। ২৫দিন ধরে চুপ আছি কিন্তু ট্রায়াল চলছে। যা ইচ্ছে এক তরফাভাবে বলা হচ্ছে। এও দেখেছি যে, হকাররা বলে বেড়াচ্ছে মাহী বি চৌধুরীর ৬টি বাড়ি। এগুলোও দেখছি, এগুলো পলিটিক্যাল ট্রায়াল বেশি হয়। অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে যদি মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যায়, যারা ষড়যন্ত্র করে তারা এটি প্রচার করে অন্যভাবে। এসব অভিযোগ নির্বাচনের আগে থেকে আসা শুরু হয়েছে। এগুলো একই অভিযোগ, এটা প্রমাণ করা কঠিন কোনো বিষয় না। বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরীর ছেলে মাহী বলেন, দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া না হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে না। দুদক আমাকে তলব করেছে বলেই আমি অভিযুক্ত বা দোষী তা নয়। অনেক সময় আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হয় রাজনৈতিক কারণে। ধৈর্য ধরলে সত্য উদঘাটিত হবে। এখানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দেশের বাইরে যদি কিছু থেকে থাকে তা আমার বৈধ আয়। এ বিষয়ে সবকিছু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খোলাসা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারের অভিযোগে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাহী বি চৌধুরীকে দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও সংস্থাটির উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে মাহীর স্ত্রী আশফাহ হক অসুস্থ থাকায় গতকাল রোববার দুদকে হাজির হননি। এর আগে ৭ আগস্ট মাহী বি চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দুদকে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা উপস্থিত না হয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। দুদক তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট সকাল ১০টায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ৪ আগস্ট গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মাহী বি চৌধুরীর রাজধানীর বারিধারার ঠিকানায় পৃথক দুটি নোটিস পাঠানো হয়। ওই নোটিসে বলা হয়, মাহী বি চৌধুরী ও তার স্ত্রী আশফাহ হকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।