March 21, 2025, 10:03 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফ্যাসিস্টের দোসর

পুরুষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি মিললো সৌদি নারীদের

পুরুষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি মিললো সৌদি নারীদের

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এখন থেকে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্ক সৌদি নারীরা। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজ দরবারের এক আদেশে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,২১ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও নারী এখন থেকে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে।কট্টর ইসলামি শাসন ব্যবস্থার তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবে নারীদের জন্য অভিভাবকত্ব আইন প্রচলিত রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী নারীদের ঘরের বাইরে বের হওয়াসহ অন্য কাজের আগে অভিভাবেকর অনুমতির দরকার পড়ে।

২০১৭ সালে অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে সৌদি যুবরাজ এক সংস্কার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। সংস্কার প্রক্রিয়ার আওতায়  গত বছর সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বাধা দূর হলেও সব বাধা দূর হয়নি এখনও। দেশটিতে ‘কঠোর অভিভাবকত্ব আইন’ বহাল থাকায় তাদের এখনও বাধা দিতে সক্ষম পুরুষ অভিভাবকরা।

নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসহ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সৌদি সরকার উচ্চাকাক্সক্ষী পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও এখনও দেশটিতে নারীদের জন্য বড় বড় কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় নারীদের পড়াশোনা, ভ্রমণ বা অন্য কোনও কাজের জন্য বাবা, স্বামী বা ভাইয়ের অনুমতির দরকার পড়ে। তবে শুক্রবার ঘোষণা করা নতুন আদেশে বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্ক সকল ব্যক্তিই এখন থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার এবং ভ্রমণ করার স্বাধীনতা পাবে। রাজকীয় ফরমানে নারীদেরকে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগ এবং বিয়ে করা বা বিয়ে বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানো হয়েছে ওই আদেশে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, পুরুষের অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত বিধানের কারণে সৌদি নারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের জীবনযাপনে বাধ্য হয়। এখনও বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে নারীদের পুরুষের অনুমতি নিতে হয়। বিয়ে, তালাক ও পাসপোর্ট নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত কোনও নারী একা নিতে পারেন না। দেশটির এমন আইনের সমালোচনা চলে আসছে অনেক বছর ধরে।

সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৬ সালে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের অর্থনীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়। এ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২২% থেকে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সৌদি আরবের অনেক প্রভাবশালী বা বিত্তশালী নারীদের আশ্রয় চাওয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যেও। তারা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করতে চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

এ বছরের জানুয়ারিতে ১৮ বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন’কে আশ্রয় প্রদান করে কানাডা। তিনি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে একপর্যায়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বিমানবন্দরের একটি হোটেল রুমে আটকা পড়ে যান তিনি এবং সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর