February 10, 2025, 4:06 am

সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতারের খবর শুনে মিষ্টি বিতরণ রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অটোরিক্সা চালক উযান মিয়া (৪২)’কে হত্যা মামলায় আসামী আকাশ ভূইয়া (২৮)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। তারেক রহমানের ৩১দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে এদেশে আর কোন ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না- বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান বুঝে নিলেন সাদপন্থিরা, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সাগরে মৃত্যু প্রতিরোধে রেসকিউ বোট নিয়ে সহায়তায় এগিয়ে এলো ওয়ার্টসিলা বিচারপতি আবদুর রউফ ইন্তেকালে লেবার পার্টির শোক সুনামগঞ্জ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। রামুতে ইজিবাইক উল্টে প্রাণ গেল বৃদ্ধের আওয়ামী লীগ বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে ঘের দখল ও চাঁদাবাজী করছে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কাটলেন পুত্রবধূ

ইসলামপুরে প্রতিনিয়তই গ্রাম আদালতের সু-বিচার পাচ্ছে সাধারন মানুষ

লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের ইসলামপুরে পাথর্শী ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামের বিানেরা বেগম অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে তার দিনাতিপাত। নিম্ন আয়ের এই পরিবার প্রতিনিয়তই খাওয়া জোগার করা সহ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই কষ্ট করে তিনি ছাগল পালন করেন। একদিন তার পালিত ছাগলটি অন্যের ফসল খাওয়া কে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাকে লাঞ্চিত করে। এতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এত সে গ্রামের মুরুব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থনা করেন। কিন্ত তাতে গড়িমসির সৃষ্টি হয়। সে সময় বানেরা বেগম ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের সাইন বোডের কথা মনে পড়ে। সে ছুটে যায় গ্রাম আদালতে। ১০টাকা ফি দিয়ে সু বিচার পেতে মামলা করেন। তিনকার্য দিবসে জরিমানা সহ বিচারের রায় পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই থেকে তিনি কম সময়ে- অল্প খরচে প্রতিকার পাওয়ায় সাধারন মানুষকে এখন গ্রাম আদালতের উপর আস্থা রাখারও পরামর্শ দেন। এমনি বানেরা বেগমের মত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারন মানুষ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।জানাগেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ২০১৭ সনের জুলাই থেকে ১৯মে পর্যন্ত কুলকান্দি ইউনিয়নে ৫৩ মামলা দায়ের হয়। এতে ৪৪টি মামলা নিস্পত্তি এবং ০৯টি মামলা খারিজ সহ ২ লক্ষ ৪৯হাজার ৯৫০ টাকা বেলগাছা ইউনিয়নে ১০৪টি মামলা দায়ের এতে ১০১টি নিস্পত্তি ২টি মামলার খারিজ ১১লক্ষ ৭৯হাজার ৫৪০ টাকা, চিনাডুলী ইউনিয়নের ৬৯টি মামলার মধ্যে ৬৪টি নিস্পত্তি ৪টি খারিজ হয়ে ১টি মামলা চলমান রয়েছে। এতে ৪লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৮০ টাকা, সাপধরী ইউনিয়নের ৬৯টি নিস্পত্তি ৬৭টি ও ২টি খারিজ হয়ে ৬লক্ষ ৪৯হাজার ৪০০টাকা,নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৬৩টি মামলা দায়ের হয়। এতে ৫৭টি নিস্পত্তি ০৬টি খারিজ হয়ে ২লক্ষ ৪হাজার ৯০০ টাকা) ইসলামপুর ইউনিয়নে ৭৪টি মামলায় ৬৯টি নিস্পত্তি ও ০৫টি মামলা খারিজ হয়ে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ২০০ টাকা পাথর্শী ইউনিয়নের দায়েরকৃত ১০২টি মামলার মধ্যে ৯৩টি নিস্পত্তি সহ ৯টি মামলা খারিজ হয়ে ১২ লক্ষ ৫৬হাজার ৪২২ টাকা পলবান্ধা ইউনিয়নে ৮৪টি মামলার মধ্য ৮০টি নিস্পত্তি ০৪টি খারিজ এবং ৬ লক্ষ ১হাজার টাকা,গোয়ালেরচর ইউনিয়নে ৭১টির মধ্যে ৬৬টি নিস্পত্তি এবং ০৫টি বাতিল ও খারিজ হয়ে ৫লক্ষ ৩৬হাজার ১শত টাকা,গাইবান্ধা ইউনিয়নে ৭০টি মধ্যে ৬৮টি নিস্পত্তি করে দুটি বাতিল হয়। এতে ৭লক্ষ ১হাজার টাকা,চর পুটিমারী ইউনিয়নে ৮৬টির মধ্যে ৭৬টি নিস্পত্তি ১০টি খারিজ হয়। এতে ১৪ লক্ষ ৯৪হাজার ৪৫০ টাকা, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নে ৭৩টি মধ্যে ৬৯টি নিস্পত্তি এবং ০৪টি বাতিল ও খারিজ হয়। এতে ৯ লক্ষ ১১হাজার ৯শত টাকা ক্ষতি পূরন আদায় হয়।ভুক্তভোগিরা জানায়,বিগত দিনে যে কোন অপরাধের বিচারের জন্য সাধারন মানুষ গ্রাম থেকে থানা ও জেলা আদালতে দৌড়াতে হতো। এতে করে যেমন ছোট ছোট বিরোধের জন্য অনেক টাকা খরচ হতো,অন্যদিকে মামলার রায়ের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো । ফলে গ্রামের সাধারন দরিদ্র মানুষ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ সুমক্ষিন হতো ।মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশন সুত্রে জানাযায়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি’র আর্থিক সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৭ সালে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প সারাদেশে ২৭টি জেলায় ১০৮০টি ইউনিয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলা সহ ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত আছে।গ্রাম আদালতে কেউ কোন অভিযোগ আনলে ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো গ্রহন করে এবং নিয়মানুয়াযী সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করা হয় বলে জানাগেছে। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগী সংস্থ্া মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশন’র উপজেলা সমন্বয়কারী মোছাঃ রুবিনা বেগম জানান- সাধারন মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়,হয়রানি যাতে না হয় সেই লক্ষে গ্রাম আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও ডিডিএলজি মহোদয়ের সময় উপযোগী পদক্ষেপ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়দের কার্যকরী তত্বাবধান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের আন্তরিকতা, এবং ফলেই গ্রামের সাধারন মানুষের আস্থা অর্জিত হচ্ছে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ জুন ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর