অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় থাকায় দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়েছে: রিজভী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়েছে। এসব ঘটনার বিচার হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এসব ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মহিলা দল। এই মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোক বলেই তারা পার পেরে যাচ্ছেন। তারা সরকারের আনুকূল্য পাওয়ার কারণেই সামাজিক এই অপরাধ সরকার ঠেকাতে পারছে না। রুহুল কবির রিজভী বলেন, যখন থেকে তারা ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকে তারা এটা করছে। আর নারী নির্যাতন নির্মূল করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু নির্মূল করা তো দূরে থাক, আমরা অনেক সময় উস্কানি দিতেও দেখেছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, আজ সালাউদ্দিন আহমেদের গুম দিবস। আজকে তিনি ভারতে কেনো? কারণ তিনি মেধাবী ছাত্র বলে, তিনি সরকারি চাকরি করতেন, পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন এবং কয়েক বার এমপিও ছিলেন। কিন্তু এক অন্ধকারের মৃত্যুকূপের মধ্যে তাকে ফেলে দিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সেখানে তিনি এক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এখন তার নামই হয়ে গেছে গুম সালাউদ্দিন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গত আড়াই হাজার বছরের মধ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য পৃথিবীতে একজন জীবন দিয়েছিলেন। তিনি হলেন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। তিনি তার কথা ও সত্য উচ্চারণ থেকে দ্বিধান্বিত হননি। আর আড়াই হাজার বছর পর আরেকজন, তিনি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কারাগারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। এরপরও তার মাথাকে নত করা যায়নি। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেন দাঁড়াতে না পারে এজন্যই খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। আমি অবিলম্বে দলের পক্ষ থেকে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মামলার বিষয়ে রিজভী বলেন, সব মামলায় টুকু’র জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরও টুকু’র মুক্তি ও নিস্তার নেই। কারণ মুক্তি পেলেই তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। তাই আবারও তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আয়োজক সংগঠন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংগঠনটির নেত্রী জেবা খান, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।